মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

এক্সপ্রেস নেটওয়ার্ক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত

২ সহস্রাধিক কিমি উন্নয়নকৃত মহাসড়কের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

অনগ্রসর জনপদের জীবনমান উন্নয়নে খুলনা বিভাগের ৩৫২.২৬ কিলোমিটার মহাসড়কের উন্নয়ন করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। এর মধ্যে ১৬৫.২২ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ করা হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৫৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটি পুনর্নির্মাণ, পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ ও সার্ফেসিং কাজ করা হয়। এতে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগের নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। একইভাবে ৪৮টি প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ৫১টি জেলায় ২ সহস্রাধিক কিলোমিটার মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে। আগামীকাল (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি নতুন ও পুনর্নির্মিত এসব মহাসড়কের উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে খুলনায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে এ অনুষ্ঠানে খুলনা প্রান্তে অতিরিক্ত সচিব এ এ কে এম শামীম আক্তার ও টাঙ্গাইল প্রান্তে অতিরিক্ত সচিব মো. জাকির হোসেন উপস্থিত থাকবেন। খুলনায় এ উপলক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একাধিক সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়। সওজ কর্মকর্তারা জানান, দেশজুড়ে এক্সপ্রেস নেটওয়ার্কে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, পর্যটন শিল্প উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত তৈরি হয়েছে।

প্রায় ১৪ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের আওতায় খুলনা বিভাগে ৩৫২.২৬ কিলোমিটার, ঢাকা বিভাগে ৬৫৩.৬৬ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৫৮.৯০ কিলোমিটার, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪২.৪৮ কিলোমিটার, সিলেট বিভাগে ১০৬.১৮ কিলোমিটার, বরিশাল বিভাগে ১০৭.২৬ কিলোমিটার, রাজশাহী বিভাগে ১৯৬.৮৭ কিলোমিটার এবং রংপুর বিভাগে ২০৩.৯৫ কিলোমিটার মহাসড়ক উন্নয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও টেকসই যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

সওজ, খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ জানান, খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কটি খুলনা বিভাগীয় শহরের সঙ্গে ডুমুরিয়া উপজেলা, পাইকগাছা, কয়রা এবং সাতক্ষীরা জেলাকে সংযুক্ত করেছে। সড়কটি যশোর-খুলনা সড়কের বিকল্প রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানিতে মালামাল পরিবহনে মহাসড়কটির গুরুত্ব রয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটক মহাসড়ক দিয়ে সাতক্ষীরা হয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ করে থাকেন। সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়ক হলেও সরাসরি ভোমরা স্থলবন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় এটির গুরুত্ব জাতীয় মহাসড়কের সমতুল্য।

জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা দৃঢ়করণের লক্ষ্যে জয়দেবপুর হতে টাঙ্গাইল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ ধীরগতির যানবাহনের পৃথক লেনসহ মহাসড়ক নির্মিত হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেন, দেশব্যাপী উন্নয়নকৃত দুই সহস্রাধিক কিলোমিটার মহাসড়ক সরকারের অন্যতম সাফল্য। এর ফলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন দ্রুত, সহজতর ও নিরাপদ হবে। নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলে কৃষিজ উৎপাদন ও বিপণন বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর