আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ক্ষমা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার বেসরকারি একাধিক টেলিভিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। এর আগে শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়া শতাধিক নেতাকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কটূক্তি এবং নানা রকম বিতর্কিত আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর দল থেকে প্রথমে বহিষ্কার করা হয়। দল থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও সাধারণ ক্ষমা চেয়ে দলীয় সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে আবেদন করেন জাহাঙ্গীর আলম। তার আবেদন আমলে নিয়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ফেরার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ।
টেলিভিশন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাহাঙ্গীর তো অ্যাপ্লাই (আবেদন) করেছে। তারটা মওকুফ করেছে। যারাই আবেদন করেছে তাদেরকেই ক্ষমা করেছে। এক শর মতো ছিল। অনেকে কলহে-বিবাদে জড়িয়েছে, শৃঙ্খলাবিরোধী বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। এগুলো ক্ষমা করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যে পাপে তারা সাজা পেয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি তারা ঘটাবে না, এই শর্ত দিয়েই তারা ক্ষমা পেয়েছেন। আগামীতে তারা সেসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। বলা যাবে যে, তুমি শর্ত ভঙ্গ করেছ।
গতকাল বিকালে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য যেমন শাস্তি দেওয়ার বিধান রয়েছে, তেমনি ক্ষমা প্রার্থনা করলে সেটা আমলে নেওয়ার এখতিয়ার দলের গঠনতন্ত্রে রয়েছে। আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সে অধিকার রয়েছে। একটা মানুষ অপরাধের দায় স্বীকার করে যখন দায়মুক্তি চায় তাহলে তাকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়।
এর মাধ্যমে আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন গাজীপুর সিটি কপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। এ প্রসঙ্গে গতকাল তাঁর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, এই মুহূর্তে দলের পদ-পদবিতে না পেলেও তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এবং বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় থাকবেন।