গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। হাতিটি অন্য হাতির সঙ্গে ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। হাতির মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ২২ ডিসেম্বর পার্কের ভিতরের হাতিশালায় হাতিটির মৃত্যু হলেও পার্ক কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে বিষয়টি জানায়নি। প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর পার্কের হাতিশালায় একটি হাতি মারা গেছে। হাতিটির বয়স হয়েছিল ৪৭-৪৮ বছর। শারীরিকভাবে অনেকটা দুর্বল প্রকৃতির ছিল হাতিটি। ওইদিন হাতিশালার অপর একটি হাতি ওই হাতিকে ধাক্কা দিয়ে পিলারের ওপর ফেলে দেয়। এতে গুরুতর আঘাত পায় হাতিটি। এর কিছু সময় পরই হাতিটির মৃত্যু হয়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, হাতি মৃত্যুর ঘটনায় পার্ক কর্তৃপক্ষ শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। তাতে মৃত্যুর কারণ হিসেবে হাতিদের মধ্যে মারামারির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক মো. ইমরান হাসান বলেন, মৃত হাতিটি মাদী ছিল। হাতিদের মধ্যে মারামারির কারণে ওই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। হাতি মৃত্যুর কারণ জানতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সাফারি পার্কে ৯টি হাতি ছিল। এর মধ্যে সাতটি পুরুষ ও দুটি মাদী। একটি হাতি মারা যাওয়ায় এখন হাতির সংখ্যা আটটিতে দাঁড়াল।