বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাত মাসেও কমিটি দিতে পারেনি কেন্দ্র

পরীক্ষা দিয়ে ক্লান্ত চট্টগ্রাম যুবলীগের পদপ্রত্যাশীরা

আজহার মাহমুদ, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা যুবলীগের পদপ্রত্যাশী নেতারা ঢাকায় পরীক্ষা দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। সম্মেলনের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কমিটি না দেওয়ায় পদপ্রত্যাশীরা রাজনৈতিক নানা মহলে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক সক্রিয় থাকতে হচ্ছে। ফলে দীর্ঘ সময় পর কমিটি গঠন নিয়ে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল তাতে ভাটা পড়েছে। উল্টো অনেক পদপ্রত্যাশীর কথায় বিরক্তির ছাপ দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘ নয় বছর পর গত ৩০ মে নগর যুবলীগের সম্মেলন হয়। সংগঠনটির সম্মেলন ও কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পদপ্রত্যাশীরা সম্মেলনের আগে থেকে দলীয় কর্মকান্ড বাড়িয়ে দেন। সভা সমাবেশে বিপুল জনসমাগম করা, সামাজিক কর্মকান্ডে সর্বোচ্চ সক্রিয় থাকা, কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গে নিজ নিজ আঙ্গিকে যোগাযোগ বাড়ানো, নেতাদের বাসা ও কার্যালয়ে হাজির থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা। এর মধ্যে চট্টগ্রামে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে বিপুল জনসমাগম করে জনপ্রিয়তা প্রদর্শনের চেষ্টা করেছেন কেউ কেউ। শীত আসার পর শীতবস্ত্র বিতরণ, বিয়েসহ নানা সামাজিক আয়োজন, জাতীয় দিবসসহ নানা সামাজিক আয়োজনেও প্রচুর সময় দিয়েছেন পদপ্রত্যাশীরা। এসব কাজে তাদের প্রচুর অর্থও ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু কমিটি ঘোষণার সময় যত দীর্ঘ হচ্ছে পদপ্রত্যাশীরা ততটাই হতাশ ও ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। একই অবস্থা চট্টগ্রাম উত্তর জেলার ক্ষেত্রেও। প্রায় ১০ বছর পর ওই ইউনিটের সম্মেলন হয় ২৯ মে। ওই সম্মেলনের পর সাত মাস পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের কমিটিসহ বেশকিছু কমিটি গঠিত হয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম নগর ও উত্তর জেলা যুবলীগের কমিটি দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় নেতারা। সম্মেলনের সাড়ে পাঁচ মাস পর গত ১৬ নভেম্বর কেবল দক্ষিণ জেলা যুবলীগের ৩৫ জনের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগর ও উত্তর জেলা যুবলীগের চারটি পদের জন্য সর্বমোট ১৪৫ জন প্রার্থী জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে নগরের সভাপতি পদে ৩৮ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৭৬ জন প্রার্থী এবং উত্তর জেলায় সভাপতি পদে নয়জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন জীবনবৃত্তান্ত দিয়েছেন। ইতোমধ্যে কেন্দ্র থেকে একটি শর্টলিস্ট তৈরি করে প্রার্থীদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড, দল ও সংগঠনের জন্য ভূমিকা, অতীতের কর্মকান্ডসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। নগর যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী এম আর আজিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা দলের দুঃসময়ে বারে বারে নিজেকে প্রমাণ করেছি। শুধু কমিটি গঠনের সময়কাল নয়, সব সময় দল ও সংগঠনের কাজে সক্রিয় থেকেছি। হতাশা বা ক্ষোভের কিছু নেই। সামনে যেহেতু নির্বাচন, একটি শক্তিশালী কমিটি দরকার। সেটা যত দ্রুত হয় ভালো। এটা সভাপতি-সম্পাদক আমার চেয়ে ভালো জানেন। উনারা নিশ্চয়ই সুবিধাজনক সময়ে কমিটি দেবেন।’

চট্টগ্রাম উত্তর জেলার পদপ্রত্যাশী আগের কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘সবাই কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে আছে। কমিটি দিলে সংগঠনের কাজে গতিশীলতা আসবে। তবে সভাপতি-সম্পাদকই ভালো জানেন, কাকে কমিটিতে রাখবেন। কিংবা কখন কমিটি ঘোষণা দিতে হবে। তাদের বিষয়ে আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর