বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে অ্যাকশন প্ল্যান

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগরের উন্নয়নে ১৯৯৫ সালে প্রণীত হয়েছিল ২০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা। কিন্তু সেই পরিকল্পনার সুফল নগরবাসী পাননি। উল্টো নগরবাসী একটি অপরিকল্পিত মহানগর দেখতে পাচ্ছেন। তবে এবার নতুন করে   মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করা হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে ২০৪১ সালের জন্য নতুন করে এই মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে নেওয়া হয়েছে বিশেষ অ্যাকশন প্ল্যান। প্র্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) ২০ বছরের জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করছে। ফেব্রুয়ারি থেকে এর কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শেষ হওয়ার কথা। চউক সূত্রে জানা যায়, পরিকল্পিত মহানগর গড়া ও গণমুখী নগর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নতুন করে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যান তৈরিতে অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে যুক্ত করা হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৪১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের। এ নিয়ে ২৮ ডিসেম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক হয়। এর মাধ্যমে ওয়ার্ড পর্যায়ের সমস্যা-সংকটগুলো চিহ্নিত এবং সংকট উত্তরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হবে। গঠন করা হয়েছে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি। কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত করা হবে সার্ভে কার্যক্রম। কাউন্সিলরের কাছ থেকে নেওয়া হবে এলাকার সমস্যা ও সংকট উত্তরণের মতামত-সুপারিশ।

এসব বিষয় যুক্ত করা হবে মাস্টারপ্ল্যানে। অন্যদিকে অর্থবহ মহাপরিকল্পনা করতে ড্রোন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ডিজিটাল ম্যাপ।

চউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আবু ঈসা আনছারী বলেন, ‘২০ বছর পর চট্টগ্রাম নগর কেমন হবে, তখন কী সমস্যা হতে পারে, সমস্যাগুলো উত্তরণের পথ কী- এসব চিন্তা বিবেচনা করেই মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই নানা কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষদের সমস্যা-সংকট এবং সেগুলো নিরসনের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে গিয়ে যুক্ত করা হয়েছে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের। তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে মহাপরিকল্পনায়। সর্বোপরি আমরা একটি অর্থবহ, সুদূরপ্রসারী ও কার্যকর মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’

জানা যায়, একটি শহরের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা প্রয়োজন। শহরের জনবসতি, ঘনত্ব, মাটির ধরন, পুকুর-জলাশয়সহ নানা বিষয় মাথায় রেখে কোন জায়গায় কী হবে, কোথায় খাল আছে, কোথায় নেই, কোথাও খাল সংস্কার করতে হবে কি না, কোন এলাকায় নতুন করে খাল খনন করতে হবে, পাহাড় কোন কোন পয়েন্টে আছে, এসব পাহাড় সংরক্ষণ করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, কোথায় আবাসিক এলাকা হবে, কোথায় বাণিজ্যিক এলাকা হবে- এসব বিষয় মাস্টারপ্ল্যানে গুরুত্ব পায়। সার্ভেয়ারের বিস্তারিত সমীক্ষা এবং বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের মতামতের ভিত্তিতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে তৈরি করা হয় এ পরিকল্পনা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর