শনিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক ও রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়

সাপ্তাহিক ছুটির দিন গতকাল রাজধানীর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীর ভিড় ছিল বেশি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পূর্বাচলের স্থায়ী ঠিকানায় শুরু হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গতকাল ছুটির দিনে পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টেছে। দুপুরের পর থেকে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। রাজধানী ছাড়াও ক্রেতা-দর্শনার্থীরা এসেছেন নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী থেকে। তবে মেলায় প্রবেশের সময় স্ক্যানার না থাকায় ব্যাগ তল্লাশিতে কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। এখনো চলছে অনেক স্টল নির্মাণের কাজ। গতকাল দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এসব দেখা গেছে। বাণিজ্যমেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্যে ছাড় দিয়েছে। ১৩০ টাকায় ক্রোকারিজ পণ্য বিক্রি করছে একটি প্রতিষ্ঠান। টার্কিশ প্যাভিলিয়নের লাইটিং সিস্টেম দেখতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মেলার টিকিট ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম বলেন, বাণিজ্যমেলা শুরুর পর প্রথম সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় দর্শনার্থীর সংখ্যা  অনেক বেশি। আগের দিন বৃহস্পতিবারের তুলনায় গতকাল দর্শনার্থী বেড়েছে তিনগুণের মতো। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে রাজধানীর উত্তরখান থেকে মেলায় এসেছেন মাসুদ। তিনি বলেন, কোলাহল থেকে দূরের স্থায়ী ঠিকানায় বাণিজ্যমেলা। অনেক বড় জায়গার ওপর মেলার আয়োজন মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থাও ভালো। সার্বক্ষণিক গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। খুব ভালো হয়েছে। মাগুরা থেকে বাণিজ্যমেলায় আগত রায়হান হোসেন বলেন, আমি গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত বাণিজ্যমেলায় আসি। গত বছর থেকে পূর্বাচলে মেলা হচ্ছে। শহর থেকে দূরে হলেও অনেকটা নিরিবিলি। অনেক সুন্দর জায়গা। খোলামেলা পরিবেশ। দেখার মতো অনেক কিছু আছে। মেলায় নাগরদোলা, ওয়াটার রাইডসহ বেশ কিছু উপকরণ রয়েছে সব বয়সীদের বিনোদনের জন্য।

১ জানুয়ারি বাণিজ্যমেলার ২৭তম আসর বসেছে নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচল বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি)। চলবে পুরো মাস।

বিক্রেতারা বলেন, মেলায় ভিড় বাড়লেও বেচাকেনা খুব বেশি হচ্ছে না। ১৫ দিন গেলে বোঝা যাবে বেচাবিক্রি কেমন হবে। মেলা ঘুরে দেখা গেছে, বিদেশি প্যাভিলিয়ন ও খাবারের দোকানে অন্য স্টলগুলোর তুলনায় ভিড় একটু বেশি।

খাবারের দোকান থেকে বের হয়ে একজন বলেন, খাবারের মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। এখানে সব হোটেলে বিরানি বিক্রি হচ্ছে। তবে কোনটা আসল আর কোনটা নকল হাজির বিরানি তা নিয়ে সন্ধিহান হয়ে গেছি। দর্শনার্থীরা জানান, মেলায় প্রবেশপথে অনেক ধূলাবালি। সড়কে কোনো আলোর ব্যবস্থা করা হয়নি। এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে। তবে মেলার ভিতরে প্রবেশ করেই তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। কারণ ভিতরের পরিবেশটা বাইরের বিপরীত।

মেলার প্রবেশমুখে সেভয় আইসক্রিমের বিক্রয়কর্মী নাসিমা আক্তার বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় ছুটির দিনে মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় একটু বেড়েছে। মেলা শুরুর পর এটা প্রথম ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতা-দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছে।

মেলার পরিচালক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ বলেন, মাত্র পাঁচ দিন আগে মেলা শুরু হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সবধরনের প্রতিষ্ঠানকে মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে। বিগত সময়ের তুলনায় অংশ নিয়েছে দেশি-বিদেশি অনেক বেশি প্রতিষ্ঠান। এখন যেসব সমস্যা আছে সেগুলো সমাধান করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর