বুধবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে বিশ্বমানের ইনডোর ক্রিকেট কমপ্লেক্সের যাত্রা শুরু

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশে প্রথম বিশ্বমানের ইনডোর ক্রিকেট কমপ্লেক্স নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ঝিনুকাকৃতির এই ইনডোরটিতে খেলোয়াড়দের জন্য রাখা হয়েছে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবির কাছে এটি হস্তান্তর করেছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

ইনডোর প্র্যাকটিসের জন্য যত সুযোগ-সুবিধা দরকার এর সবই যুক্ত করা হয়েছে বিশ্বমানের এই ইনডোরে। ইনডোর প্র্যাকটিসের জন্য ক্রিকেট পিচ আমদানি করা হয়েছে বিদেশ থেকে। স্টিল স্ট্রাকচারের দৃষ্টিনন্দন স্থাপনার পাশাপাশি ভিতরেও ক্রিকেটারদের যা যা প্রয়োজন এর সবই সন্নিবেশ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জাপানি সহায়তায় ইনডোর ক্রিকেট কমপ্লেক্সটি তৈরি করেছে। ১৪২ ফুট দৈর্ঘ্য আর ৫৮ ফুট প্রস্থের এই ইনডোরে আছে চারটি উইকেট। দুটি সবুজ টার্ফের এবং দুটি ম্যাটের। এ ইনডোর তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা।

২০২০ সালে এটির কাজ শুরু করেছিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। বছর তিন আগে চট্টগ্রাম আউটার লিংক রোডের ফ্লাইওভার তৈরি করতে গিয়ে ভাঙা পড়ে পুরনো ইনডোরটি। ভাটিয়ারী থেকে কর্ণফুলী টানেলের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার মাঝে জহুর আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামের ভূমি অধিগ্রহণ করেছিল সিডিএ।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, চট্টগ্রামের ক্রিকেটের বিকাশ ও মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই ইনডোর। তবে ইনডোর ক্রিকেট কমপ্লেক্সটি যাতে ব্যবহার উপযোগী থাকে এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ের ক্রিকেট খেলোয়াড়রা এটি ব্যবহার করে নিজেদের বিকশিত করতে পারেন সেই সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

সিডিএ সূত্র জানায়, ফিডার রোড-৩ সুষ্ঠুভাবে নির্মাণের জন্য জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ইনডোরের জায়গাটি খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় পুরনো ইনডোরটি ভেঙে রাস্তা নির্মাণ এবং নতুন করে একটি ইনডোর নির্মাণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে করে রাস্তা নির্মাণের জন্য ইনডোরটি ভেঙে ফেলা হয়। ইনডোরের জায়গাটিও সড়কের জন্য ব্যবহার করা হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ওই জায়গার জন্য সিডিএ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ নেয়নি। এই দায়বোধ থেকে সিডিএ নিজ প্রকল্পের টাকা থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয় করে ইনডোর ক্রিকেট কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করে দিয়েছে। সব আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যুর সঙ্গে একটি ইনডোর কমপ্লেক্স বাধ্যতামূলক। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ২০০৪ সালে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম নির্মাণ করার সময়ই ওখানে ইনডোর নির্মাণ করেছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর