শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত । ইভ টিজিং

বিচার চাওয়ায় পিটিয়ে হত্যা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

ইভ টিজিংয়ের বিচার চাওয়ায় এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার রামদী ইউনিয়নের মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনার পর অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দেয় উত্তেজিত জনতা।

নিহত কৃষক আবু বকর (৫৭) মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে। অভিযুক্তরা হলো একই গ্রামের রবি মিয়ার ছেলে বাবুল (১৮), আলমের ছেলে রিশাদ (১৬) ও সালামের ছেলে পারভেজ (১৬)। রামদী ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য নূরজাহান বেগম ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আসাদ মিয়া জানান, কুলিয়ারচর উপজেলার বীর কাশিম নগর ফেদাউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হাসিনা বেগম কিছুদিন আগে দুর্ঘটনায় আহত হন। মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামের বাড়িতে ওই শিক্ষিকাকে দেখতে আসে বিদ্যালয়ের চার ছাত্র-ছাত্রী। এ সময় রাস্তায় ওই ছাত্রীদের অশালীন কথাবার্তা বলে মুজরাই গ্রামের বাবুল, রিশাদ ও পারভেজসহ কয়েকজন কিশোর। শিক্ষার্থীরা ইভটিজিংয়ের ঘটনাটি শিক্ষিকা হাসিনা বেগমকে জানায়।

হাসিনা বেগম বিষয়টি প্রতিবেশি আবু বকরের স্ত্রী আনিছা বেগমকে বলেন। পরে আনিছা বেগম অভিযুক্ত রিশাদের পিতা আলমের নিকট বিচার দেন। ঘটনা শুনে আলম তার ছেলে রিশাদকে শাসন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রিশাদ, পারভেজ ও বাবুলসহ আরও কয়েকজন কিশোর আবু বকরের বাড়িতে গিয়ে আনিছা বেগমের নামে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে খুঁজতে থাকে। এ সময় আনিছার স্বামী আবু বকর বাড়িতে এসে তার খোঁজার কারণ জানতে চাইলে বখাটেরা আবু বকরকে মারপিট করে। আবু বকরের ভাতিজা সজীব বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। আহত আবু বকরকে উদ্ধার করে বাজিতপুরে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা রিশাদ, বাবুল ও পারভেজদের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর