শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

কিডনি রোগীর ভোগান্তি চরমে

রংপুর মেডিকেলে সব উপকরণ কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

কিডনি রোগীর ভোগান্তি চরমে

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নেফ্রোলজি বিভাগে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের সব উপকরণ কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে। এতে আর্থিক খরচের পাশাপাশি ভোগান্তি বেড়েছে রোগীদের। অর্থের অভাবে অনেকে চিকিৎসা করাতে পারছেন না।

রমেক হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, রংপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার দুই শতাধিক কিডনি রোগী এই হাসপাতালে এখন নিয়মিত চিকিৎসা নেন। তারা অগ্রিম টাকা জমা দিয়ে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত চার দিন ডায়ালাইসিস করার জন্য তাদের আসতে হয়। এ ছাড়াও নতুন রোগী তো আছেই। এ হাসপাতালে চালু ২৮টি ডায়ালাইসিস মেশিনের মধ্যে ৯টিই কিছুুদিন আগে বিকল হয়ে যায়। পরবর্তীতে এগুলো মেরামত করা হলেও চিকিৎসার অন্যসব উপকরণ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন রোগী ও স্বজনরা। তারা অভিযোগ করেছেন, স্যালাইন, সুইসহ চিকিৎসার অন্যান্য উপকরণ, ওষুধ সবই বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। এতে প্রতিবার ডায়ালাইসিসের ব্যয় হচ্ছে ৩ হাজার টাকার মতো। সরকারি হাসপাতাল হিসেবে এখানে যেসব সেবা পাওয়ার কথা, রোগীরা তা পাচ্ছেন না। জানা গেছে, একজন কিডনি রোগী টাকা জমা দিয়ে সপ্তাহে দুই দিন করে ৪৮ বার ডায়ালাইসিস করাতে পারেন। রোগীদের এই প্যাকেজ সুবিধা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যাদের দুটো কিডনি বিকল, একমাত্র তাদের সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস করাতে হয়। আগে সব ধরনের উপকরণ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হতো। দেড় মাস ধরে প্রত্যেক রোগীকে ডায়ালাইসিসের সব উপকরণ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। রোগীদের অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডে গত এক সপ্তাহে ৭-৮ জন রোগী মারা গেছেন। তাদের অনেকেই আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনতে পারেননি। তবে ওই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিসক ও নার্সরা বলছেন, উপকরণ সংকটের বিষয়টি একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেয়নি। ঠাকুরগাঁও থেকে আসা সালমা বেগম নামে এক রোগীর স্বজন জানালেন, চিকিৎসার সব উপকরণ কিনতে না পারায় তার ডায়ালাইসিস হচ্ছে না। ফলে শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। প্রায় একই ধরনের কথা বললেন আরও কয়েকজন রোগীর স্বজন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক আ ম আখতারুজ্জামান বলেন, ২৮টি ডায়ালাইসিস মেশিনই চালু রয়েছে। তবে উপকরণ সংকট রয়েছে। উপকরণ চেয়ে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। উপকরণ এলে রোগীদের আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর