সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

শেষ হয়নি বাস টার্মিনালের কাজ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

শেষ হয়নি বাস টার্মিনালের কাজ

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় এখনো নির্মাণকাজ শেষ হয়নি বাস টার্মিনালের। এর ফলে মহাসড়কের পাশেই ফসলের মাঠে পার্কিং করা হচ্ছে পর্যটক বহনকারী দূরপাল্লার যানবাহন। এসব যানবাহন সৈকত থেকে অন্তত এক কিলোমিটার দূরে সারিবদ্ধভাবে মাঠেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে দূর থেকে তাকালে মনে হবে এটি একটি বড় ধরনের বাস টার্মিনল। সেখান থেকে নেমে পর্যটকদের যেতে হয় হোটেল-মোটেলে। কেউ ইজিবাইক কিংবা ভ্যানে করে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ যাচ্ছেন হেঁটে। আগে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা আসতে সময় লাগত ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা। এখন পদ্মা সেতু হওয়ায় সেই সময় নেমে এসেছে ৬ ঘণ্টায়। তাই সরকারি ছুটি কিংবা বিশেষ কোনো দিন ছাড়াই হাজারো পর্যটক ছুটে আসছেন সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। আর পর্যটকদের পাশাপাশি একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে যানবাহনের সংখ্যা- এমনটাই জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টসহ স্থানীয়রা। জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৩ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজটি করছে। কুয়াকাটা পৌর এলাকার সীমানায় মহাসড়কের পাশেই তুলাতলীতে ছয় একর জমিতে এ বাস টার্মিনালটি নির্মিত হচ্ছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে একটু সময় পেরিয়ে গেছে। তবে ২০২২ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা সম্পূর্ণ করতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। এর ফলে সড়কের ওপর যানবাহন রাখায় সৃষ্টি হয় যানজটের। হিমশিম খেতে হয় ট্যুরিস্ট পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসনকে। পরে পরিত্যক্ত একটি মাঠে এসব যানবাহন পার্কিং করছে। তবে সেখান থেকে ইজিবাইক কিংবা ভ্যানে সৈকতসহ হোটেল-মোটেল জোনে যেতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। পর্যটক রায়হান বলেন, এর আগেও কয়েকবার কুয়াকাটায় এসেছি। তখন সৈকতসংলগ্ন চৌরাস্তায় গাড়ি থেকে নেমেছি। এবার এসে একটি মাঠে নামতে হয়েছে। অপর এক পর্যটক ফয়সাল বলেন, সরাসরি বাস পার্কিং দেখে প্রথমে মনে হয়েছে কুয়াকাটার বাস টার্মিনালে আমাদের বাস থামিয়েছে। নেমে দেখলাম বাস টার্মিনাল নয়, এটি একটি মাঠ। সেখান থেকে ইজিবাইকে করে হোটেল পর্যন্ত পৌঁছতে ৪০ টাকা করে ভাড়া দিতে হয়েছে। বাসচালক ফারুক হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাই পর্যটকের চাপ বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে বাড়ছে দূরপাল্লার যানবাহন। অপর এক চালক হাবিব বলেন, প্রতিদিন যে গাড়ি আসছে সেই পরিমাণে এখানে পার্কিং সুবিধা নেই।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর