সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

পঞ্চগড়ের অগ্নিসন্ত্রাস মনিটর হয় ঢাকা ও লন্ডন থেকে : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

পঞ্চগড়ের অগ্নিসন্ত্রাস মনিটর হয় ঢাকা ও লন্ডন থেকে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর অগ্নিসন্ত্রাসী হামলা এবং উসকানি বিএনপি-জামায়াতের ২০১৩, ১৪, ১৫ সালের নৈরাজ্যের মতোই এবং ঢাকা ও লন্ডন থেকে তা মনিটর করা হয়েছে। পঞ্চগড়ে গন্ডগোল লাগিয়ে সারা দেশে একটা বড় গন্ডগোল লাগানোর চেষ্টা তাদের ছিল। তবে আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি, যে বা যারাই এর সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন, কোনো দল বা কোনো রং সেটি না দেখে ব্যবস্থা নিতে এবং সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ড. হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে একটি দল পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ফুলতলা আহমদনগরে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শনে যান। বোদার সংসদ সদস্য রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, পঞ্চগড় জেলা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত, জেলার ডিসি মো. জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে ড. হাছান বলেন, ‘ ২, ৩, ৪ মার্চ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর যে নারকীয় হামলা পরিচালনা করা হয়েছে সেটি সরেজমিন দেখার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা এসেছি। এ জঘন্য হামলা পরিচালনার আগে থেকেই কিন্তু উসকানি ছড়ানো হয়েছে। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে যেভাবে সরকারি স্থাপনায় আক্রমণ করা হয়েছিল ঠিক একই কায়দায় আহমদিয়া জামাতের মাহফিলকে কেন্দ্র করে আগে থেকে উসকানি ছড়ানো হয়েছে। উসকানি ছড়িয়ে সংগঠিত করে তারপর এ হামলা পরিচালনা করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যারা সারা দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তাদের সেই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বাঁশের কেল্লা’ কারা পরিচালনা করে আপনারা জানেন। সেই বাঁশের কেল্লা পেজ থেকে এবং কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে ‘ঐক্যপরিষদ’ এর পক্ষ থেকে বিএনপির সাবেক দুই এমপি রুমিন ফারহানা ও হারুন অর রশীদের ফেসবুক পেজ থেকে  উসকানি ছড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে এখানকার যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তার মোটরসাইকেলসংক্রান্ত উসকানি ছড়িয়েছে, ছাত্র শিবিরের তেঁতুলিয়ার সভাপতি সেও উসকানি ছড়িয়েছে এবং এখানে যারা যুক্ত ছিল তাদের বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী। তারা ব্যবহার করেছে অন্য ব্যানার, কিন্তু মূলত: তারা বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী।’

ক্ষতিগ্রস্তদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, আমাদের দলের অনেক নেতার ঘরবাড়িও তারা জ্বালিয়ে দিয়েছে। এখানে ধাক্কামারা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ মিয়ার ঘর এবং গরুসহ সবকিছু জ্বালিয়ে দিয়েছে। এখানকার পৌর যুবলীগের সহসভাপতি শাহিন আলমের বাড়িঘরে হামলা ও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীরা পুলিশ বক্সে হামলা করেছে। তারা ডিসি, এসপি অফিসেও হামলার চেষ্টা করে, র‌্যাবের গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স, দোকানপাট, গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘ধর্মের নামে এভাবে কারও ওপর হামলা করা ইসলাম কোনোদিন অনুমোদন করে না। এভাবে ইসলামের নামে যারা মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করে তারা ইসলামেরও শত্রু। তারা ইসলামের গায়ে কালিমা লেপন করছে। এ শত্রুদের প্রতিহত করার জন্য আমরা দেশবাসীকে আহ্বান জানাই। তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধান করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর