সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভাগীয় শহরগুলোতে একটি করে বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করার কথা। কিন্তু এটি নির্মাণ তো নয়ই, জায়গা নিয়েই তৈরি জটিলতা এখনো শেষ হয়নি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে এখনো কাজই শুরু হয়নি। ফলে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়টি এখনো ঝুলে আছে। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের মে মাসে বিভাগীয় শহরে ‘ফিজিক্যাল ফ্যাসিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট’ (পিএফডি) শীর্ষক অপারেশনাল প্ল্যানের আওতায় দুই একর জমিতে ২০০ শয্যার একটি করে বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল নির্মাণের অনুমোদন দেয়। প্রাথমিকভাবে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা। তবে চট্টগ্রাম নগরে একসঙ্গে দুই একর জায়গার সন্ধান দিতে বিলম্ব হয়। পরে বাকলিয়ায় একটি জায়গা নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়। কিন্তু ভূমির একটি অংশে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) কর্ণফুলী রিভার ফ্রন্ট রোড এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ শাহ্ আমানত সেতুর সংযোগ সড়ক বাস্তবায়ন করায় তারা আপত্তি তোলে। পরে নির্ধারিত ভূমি থেকে শূন্য দশমিক ৫৪ একর বাদ দিয়ে ১ দশমিক ৪৬ একর জমিতে হাসপাতাল নির্মাণে অনাপত্তি দেয় চউক। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, নির্ধারিত স্থানের আয়তন নিয়ে চউক ও সওজ আপত্তি তোলে। এরপর বৈঠক করে নির্দিষ্ট স্থানে শিশু হাসপাতাল নির্মাণ এবং হাসপাতালের নার্সেস ডরমেটরি, ডক্টরস ডরমেটরি, অ্যাসেনশিয়াল স্টাফ ডরমেটরি, আবাসিক ভবনসহ কিছু অবকাঠামো বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক অফিস এলাকায় নির্মাণ করার প্রস্তাবনা দিয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তবে মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে এখনো কিছু জানায়নি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তবে যেহেতু প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়ে গেছে, তাই এ টাকা ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা নেই। সময়ের পরও ওই টাকা দিয়ে কাজ করা যাবে। জানা যায়, চট্টগ্রামে প্রতিনিয়তই বাড়ছে শিশু রোগী। কিন্তু চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজারসহ আশপাশের জেলার মানুষকে নির্ভর করতে হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু বিভাগের ওপর। এ বিভাগে অনুমোদিত শয্যা আছে ৩৪টি। অতিরিক্ত সংযুক্ত করা হয় ১০০টি শয্যা। কিন্তু এখানে নিয়মিত গড়ে ২০০ রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করে। ফলে রোগীর সঙ্গী হয় ভোগান্তি। তাছাড়া, জেনারেল হাসপাতালে ৩০ শয্যার শিশু ওয়ার্ড থাকলেও সেখানে প্রয়োজনীয় সেবা মেলে না বলে অভিযোগ। ফলে শিশু রোগীদের চিকিৎসায় বিপাকে পড়তে হয়।
শিরোনাম
- ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
- বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
- আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
- রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
- ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
- ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
- নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
- যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
- রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
- ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
- পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
- একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
- রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- ‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
- ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
- ধানের শীষে দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে: দুলু
- ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ৪৩৬ জন
- যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
শুরুর আগেই শেষ প্রকল্পের মেয়াদ
বিভাগীয় শহরে বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল নির্মাণ
রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর