রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাগানে জাতীয় পতাকা মানচিত্র ও স্মৃতিসৌধের অবয়ব

মাসুদ হাসান বাদল, শেরপুর

বাগানে জাতীয় পতাকা মানচিত্র ও স্মৃতিসৌধের অবয়ব

বীর বাঙালির স্বর্ণালি অধ্যায় স্বাধীনতা যুদ্ধ। আর অগ্নিঝরা এই মার্চেই শুরু হয় যুদ্ধ। লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার ফসল হিসেবে নানা অর্জনের মধ্যে বাঙালি লাভ করে পতাকা, মানচিত্র। স্বাধীনতা-পরবর্তী জাতীয় বীরদের সম্মান জানাতে দেশ নির্মাণ করে স্মৃতিসৌধ। স্বাধীনতার এই অর্জনকে স্মরণ করতে মাসব্যাপী পরিশ্রম করে এই স্বাধীনতার মাসেই শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে ধান খেতে জাতীয় পতাকার অবয়ব তৈরি করেছেন। আর সবজি বাগানে মানচিত্র ও স্মৃতিসৌধের রূপ দিয়েছেন। এই কাজটিকে মানুষ মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত এবং বর্ণিল শিল্প বলে মনে করছে। স্বাধীনতা দিবসের দুই দিন আগে এই কৃষিজ ও শিল্পকর্মটিকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ২৪ মার্চ বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি উন্মুক্ত করেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক।

শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) সুবিশাল বাউন্ডারির মধ্যে ৪৩ একর জমির ওপর বিশাল এলাকায় ধান ও সবজির প্রদর্শনী প্লট। এর ধান খেতের মধ্যে পতাকার অবয়বে পতাকার প্রতিচ্ছবি। আর এর পাশেই রয়েছে সবজি প্রদর্শনী মাঠ। এই মাঠেই শোভা পাচ্ছে লাল শাকের লাল রং, সবুজ সবজির রং মিশ্রিত লাল-সবুজের মানচিত্র এবং স্মৃতিসৌধ। কৃষিশিক্ষা এই প্রতিষ্ঠানের করা এসব শিল্প মানুষকে মুগ্ধ করেছে। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ধান খেতের ক্যানভাসে পতাকার অবয়বটি ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্য, ৯৬ ফুট প্রস্থ। সবুজ ধান খেতের মধ্যে ৩২ ফুট বৃত্তের লাল সূর্যের রংটি নির্ধারিত হয়েছে দুলালি সুন্দরি লাল খয়েরি প্রাকৃতিক রঙে। পতাকার সবুজ অংশ বঙ্গবন্ধু-১০০ ও হাইব্রিড এবং মাঝখানে বৃত্তের লাল অংশ দুলালি সুন্দরি ধানের চারা লাগিয়ে ধান গাছ কেটে-ছেঁটে করা হয়েছে এই শিল্প। ৪৩ একর জমির ওপর পাশেই সবজির প্রদর্শনী মাঠে লাল শাক ও পাট, পালং শাকের চারা লাগিয়ে কেটে-ছেঁটে বাংলাদেশের মানচিত্র ও স্মৃতিসৌধের অবয়ব দেওয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের দাবি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েই এ কাজটি করা হয়েছে। আয়োজনটি সামান্য হলেও এর ক্যানভাস ও মূল্যায়ন অনেক বড়। আগামী প্রজন্মের কাছে ৭১-এর স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ ও অর্জন সর্বক্ষেত্রে তুলে ধরতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এটিআই-এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইফুল আজম খান।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুকে জানতে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শেরপুর জেলায় এটাই ব্যতিক্রমী ও প্রথম উদ্যোগ বলে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করেছেন সরকারদলীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক। তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পেয়েছি। এবার আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর