রংপুর নগরী থেকে অল্প দূরেই পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের ইন্ডিয়াপাড়া ও খলিফাঠারি গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া আলাইকুড়ি নদীর ওপর বানানো কাঠের সাঁকো সরিয়ে মাটি-ভরাট করে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ফলে সাময়িক চলাচলের সুবিধা হলেও আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে দুই পাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করতে জনভোগান্তি বাড়তে পারে। এলাকাবাসী ও নদী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কল্যাণী ইউনিয়নের স্বচাষ ও ইন্ডিয়া পাড়ার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত ২৫ কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যরে আলাইকুড়ি এ নদীটি। এটি পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের বড় হাজরা এলাকা থেকে প্রবাহিত হয়ে রংপুর পাওটানা রাস্তার বড় দরগা, মন্তারবাজার, সুন্দরবাজার ও দামুড় চাকলাবাজার অতিক্রম করে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে পীরগাছা সদর ইউনিয়নের ঘাঘট নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগেও এখানে পাকা ব্রিজ ছিল এবং এই ব্রিজ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ, কল্যাণী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, স্কুল-কলেজ, নবদীগঞ্জের হাটবাজারে যাতায়াত করতেন মানুষ। শুধু তাই নয় বড় দরগা, তালতলা, দেউতি, হাউদারপাড়, মহিন্দ্রা, জোড়ইদ্রা, স্বচাষ গ্রামের লোকজন এ পথ দিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। কিন্তু ব্রিজটি পূর্ণ নির্মাণের কথা বলে ভেঙে ফেলা হলেও সেটি আজ অবধি নির্মিত হয়নি। স্থানীয়রা বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে বৃষ্টির সময় বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা করে কাজ চালিয়ে নিয়েছেন। সম্প্রতি মাটি দিয়ে নদী ভরাট করে রাস্তা বানানো হয়েছে। কল্যাণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আলম বলেন, অচিরেই ব্রিজটির নির্মাণ শুরু হবে।