সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বঙ্গবাজারের উত্তাপ সিলেটের ঈদবাজারে

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদের বাজার। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর থাকছে নগরের দোকানপাট ও বিপণিবিতানগুলো। কিন্তু এবার অন্য ঈদের চেয়ে কাপড়ের দাম বেশি বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৈশ্বিকভাবে সব জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এর বাইরে কাপড়ও নয়। তবে অগ্নিকান্ডে  বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়ায় দেশি কাপড়ের বাজারে প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে চাহিদামতো সরবরাহ না থাকায় স্বল্প দামের কাপড়ের দাম কিছুটা বেড়েছে। সিলেটে প্রতিবছরই ১৫ রমজানের পর থেকে ঈদের বাজার জমতে শুরু করে। আর ঈদের আগের সপ্তাহ নগরীর বিপণিবিতানগুলোতে পা ফেলা দায় হয়ে দাঁড়ায়। এবারও ১৫ রমজানের পর থেকে সিলেটে ঈদের বাজারে ক্রেতা পদচারণা বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১টা পর্যন্ত খোলা থাকছে সব বিপণিবিতান। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো পুরোপুরি বাজার জমেনি। যারা ঈদে আনরেডি কাপড় কিনে সেলাই করিয়ে থাকেন তারাই কেনাকাটা করছেন। আর রেডিমেড পোশাকের ক্রেতারা এখনো মার্কেট ঘুরে কালেকশন দেখছেন। মূলত ঈদের আগের এক সপ্তাহেই এ ধরনের ক্রেতারা কেনাকাটা করে থাকেন। তবে ব্যবসায়ীরা আশাবাদী, করোনার প্রভাবমুক্ত এই বছর ঈদবাজারে তারা কাক্সিক্ষত ক্রেতার দেখা পাবেন এবং কেনাবেচা করতে পারবেন। ঈদের কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের অভিযোগ এ বছর কাপড়ের দাম গেল বারের চেয়ে অনেক বেড়েছে। গেল বারের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি দাম চাইছেন ব্যবসায়ীরা- এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। আর বিক্রেতারা বলছেন, গেল এক বছরে নিত্যপণ্য থেকে সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সারা বিশ্বে এখন সব ধরনের পণ্যের দাম ঊর্ধŸমুখী। তাই এক বছরের ব্যবধানে কাপড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এ বছর অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়েনি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর সিলেটে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে স্বল্পমূল্যের কাপড়ের। রোজার আগেও যে থ্রিপিস ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই কাপড়ের দাম এখন ব্যবসায়ীরা চাইছেন আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা। এর কারণ জানতে চাইলে নগরীর জিন্দাবাজারের শুকরিয়া মার্কেটের এক ব্যবসায়ী জানান, বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ডে র পর ঢাকায় টাকা দিয়েও দেশি কাপড় মিলছে না। সিলেটে দেশি কাপড়ের মূল সরবরাহকারী বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা। অনেকে বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে কাপড়ের জন্য অগ্রিম টাকা দিয়ে রেখেছিলেন, কিন্তু এখন টাকা কিংবা কাপড় কোনোটাই পাচ্ছেন না। যে কারণে স্বল্পমূল্যের দেশি কাপড়ের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে ভারতীয় ও দেশি ব্র্যান্ডের কাপড়ের দাম খুব বেশি বাড়েনি বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ঈদের ঠিক আগে বাজারে দেশি স্বল্প দামের কাপড় পর্যাপ্ত পাওয়া না যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওই ব্যবসায়ী।

ব্লু ওয়াটার শপিং সিটির ব্যবসায়ী সুমন আহমদ জানান, ঈদে কাপড়ের দাম কিছুটা বেড়ে যায় এটা অস্বীকার করার নয়। এবার দেশি কিছু কাপড়ের দাম বাড়লেও ভারতীয় ও দেশি ব্র্যান্ডের কাপড়ের দাম খুব একটা বাড়েনি।

সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান রিপন জানান, ‘বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ডে র ঘটনায় সিলেটের বাজারে কাপড়ের তেমন কোনো সংকট তৈরি হয়নি। দেশি স্বল্পমূল্যের কাপড়ের দাম হয়তো কিছুটা বাড়তে পারে, কিন্তু সার্বিক বাজার মূল্য ঠিকই আছে।’

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর