বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
কনফারেন্সে বক্তাদের আহ্বান

১০ এপ্রিলের চিন্তা-চেতনা জাগিয়ে তুলতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন প্রজন্মের মধ্যে ১০ এপ্রিলের চিন্তা-ভাবনা ও চেতনাকে জাগিয়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র : ১০ এপ্রিল ১৯৭১ এবং একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সের দ্বিতীয় পর্বে এ আহ্বান জানান বক্তারা। রাজধানীর বেইলি রোডে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) আয়োজিত এ কনফারেন্সে ভারত ও বাংলাদেশের খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ, ইতিহাসবিদ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সন্তানসহ দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য আলোচকরা অংশ নেন।

বিলিয়ার অনারারি সেক্রেটারি এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ কনফারেন্সে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, আমাদের অসংখ্য মানুষ, বিশেষত তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। আমাদের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে দীক্ষিত করে তুলতে হবে এবং তাদের ভিতরে ১০ এপ্রিলের চিন্তা-ভাবনা ও চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে হবে। সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব বলেন, বাংলাদেশ আসলে শত্রুমুক্ত হয়েছে কি না, তা ভেবে দেখা দরকার। কেননা, বাংলাদেশের জন্মের অন্যতম ভিত্তি ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনা। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ১৯৭১ সালের পরের প্রজন্ম বা নতুন প্রজন্মের অনেকেই জানেন না স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র কী, অনেকেই আবার জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক মনে করেন। নতুন প্রজন্ম বা পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে জানানো এবং সচেতন করে তোলার জন্য এ ধরনের আলোচনা অনুষ্ঠান বারবার আয়োজন করা দরকার। রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে দেশাত্মবোধ জাগিয়ে তোলা ও ধরে রাখার জন্য স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রজন্ম ’৭১-এর সভাপতি আসিফ মুনির বলেন, বিশ্বের কোনো দেশে সাধারণত ইতিহাসকে রাজনীতিকরণ করা হয় না। অধ্যাপক ড. নুজহাত চৌধুরী বলেন, ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি; আর এটাই ছিল আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মের নিকট মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতাসহ ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের জীবনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তোলেন মাওলানা জিয়াউল হাসান। কনফারেন্সে আলোচকদের অনেকেই ১০ এপ্রিলকে ‘রিপাবলিক ডে’ ঘোষণার দাবি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর