মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বগুড়ায় পুলিশ সদস্যকে পেটালেন যুবলীগ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার শিবগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশের এক সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। রবিবার উপজেলার রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের মোকামতলা বন্দরে এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবলীগ নেতার নাম আপেল সরকার। তিনি শিবগঞ্জের  মোকামতলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

স্থানীয়রা জানান, যুবলীগ নেতা আপেল সরকার  মোকমতলা বন্দরে তার ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার নিয়ে উল্টো পথে যাচ্ছিলেন। এই সময় গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ সদস্য তৌহিদ তাকে বাধা দেন। এতে আপেল সরকার ও তার সঙ্গে থাকা সঙ্গীরা পুলিশ সদস্য তৌহিদকে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশ সদস্য  তৌহিদকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায়।

 গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, এই বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।

পরবর্তীতে অধিকতর তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ প্রসিকিউশনের মাধ্যমে প্রমাণিত হলে ২০২২ সালের ১৯ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আবদুল মতিন, আবদুল আজিজ এবং আবদুল মান্নানকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন।

যত অপরাধ : আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালের ১৯ মে আবদুল মতিনসহ এই মামলার অপর দুই আসামি আবদুল আজিজ, আবদুল মান্নান এবং তাদের সহযোগীরা মিলে মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানার ঘোলসা গ্রাম থেকে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির নেতা হরেন্দ্রলাল দাস ওরফে হরিদাস, মতিলাল দাস, নগেন্দ্র কুমার দাস এবং শ্রীনিবাস দাসকে অপহরণ করে। তাদের তিন দিন ধরে বড়লেখা সিও অফিস রাজাকার ক্যাম্পে আটক রেখে নির্যাতন করার পর জুড়ি বাজার বধ্যভূমিতে নিয়ে যায়। সেই বধ্যভূমিতে হরেন্দ্রলাল দাস ওরফে হরিদাস, মতিলাল দাস এবং নগেন্দ্র কুমার দাস এই তিনজনকে হত্যা করা হয়। শ্রীনিবাস দাস পালিয়ে বাড়ি ফিরে যান।

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে আবদুল মতিন, আবদুল আজিজ ও আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা বড়লেখা থানার কেছরিগুল গ্রামের বাসিন্দা সাফিয়া খাতুন এবং আবদুল খালেককে অপহরণ করে কেরামত নগর টি-গার্ডেন রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে সাফিয়া খাতুনকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। পরবর্তীতে সাফিয়া খাতুনকে প্রথমে শাহবাজপুর রাজাকার ক্যাম্প এবং বড়লেখা সিও অফিস রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর বড়লেখা হানাদারমুক্ত হলে মুক্তিযোদ্ধারা সাফিয়া খাতুনকে সিও অফিসের বাংকার থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর আবদুল মতিনসহ রাজাকাররা মিলে মুক্তিযোদ্ধা মঈন কমান্ডারের বাড়িতে হামলা করে  লুটপাট চালায়। ২০১৬ সালে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর মতিন গোলাপগঞ্জ থানা এলাকায় আত্মগোপন করেন। তিনি বড়লেখা থানার পাখিয়ালা গ্রামের প্রয়াত মিরজান আলীর ছেলে।

সর্বশেষ খবর