শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রস্তুত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল

অপেক্ষা শুধু বেসরকারি পরিচালনাকারীর চালু হলে বাড়বে বন্দরের সক্ষমতা

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

প্রস্তুত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল

পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি জাহাজ নোঙর করেছে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

জাহাজ নোঙর করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি)। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি জাহাজ নোঙরও করেছে। এখন অপেক্ষা শুধু টার্মিনাল পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিকীকরণের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকারীর। এরই মধ্যে এখানে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহও প্রকাশ করেছে কয়েকটি দেশ। পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) চূড়ান্ত অনুমোদনের পর চুক্তি হবে বিনিয়োগকারীর সঙ্গে। এ টার্মিনাল পুরোদমে চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ বার্থিং, কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এবং কনটেইনার ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, পতেঙ্গা কনটেইনারের টার্মিনাল কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে এখানে পরীক্ষামূলকভাবে পণ্য খালাসও হয়েছে। এটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় বাস্তবায়নের জন্য নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সৌদি আবর, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারতসহ কয়েকটি দেশের শীর্ষ শিপিং কোম্পানি টার্মিনাল পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিকীকরণে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পিপিপি চূড়ান্ত অনুমোদনের পর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চুক্তির পর পুরোদমে চালু হবে এ টার্মিনাল। চট্টগ্রাম বন্দরকে দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। দেশের মোট আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৯২ শতাংশই দেশের প্রধান এ সমুদ্রবন্দর দিয়ে করা হয়। বর্তমানে এ বন্দরে  জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি), চট্টগ্রাম কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) ও নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) নামে তিনটি টার্মিনালে ১৯টি জেটি রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়। পতেঙ্গা টার্মিনাল আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলে জেটির সংখ্যা দাঁড়াবে ২৩টিতে। পিসিটিতে সাড়ে ১০ মিটার ড্রাফট ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে জাহাজও ভিড়তে পারবে। পিসিটির ৬০০ মিটার জেটিতে একসঙ্গে ১৯০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ মিটার ড্রাফটের অন্তত তিনটি জাহাজ ভেড়ানো যাবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকার এ প্রকল্পে পুরোটাই অর্থায়ন করেছে বন্দর। ৩২ একর জমিতে নির্মিত এ কন্টেইনার টার্মিনালে রয়েছে প্রায় ১৬ একর ব্যাকআপ ইয়ার্ড। যেখানে একসঙ্গে রাখা যাবে ৪ হাজার ৫০০ টিইইউস কন্টেইনার। এ প্রকল্পের জন্য তৈরি করা হয়েছে  ১ লাখ ১২ হাজার বর্গমিটারের আরসিসি পেভমেন্ট। ২ হাজার ৭৫০০ মিটার কাস্টমস বন্ডেড ওয়াল, ৫ হাজার ৫৮০ বর্গফুটের পোর্ট অফিস ভবন, ১ হাজার ২০০ বর্গমিটারের যান্ত্রিক ও মেরামত কারখানা। কন্টেইনার টার্মিনালে নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হয়েছে ৪২০ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার, চার লেনের পৌনে এক কিলোমিটার এবং ছয় লেনের এক কিলোমিটার সড়ক।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর