বাকেরগঞ্জে ভুতুড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী পালানোর কাজে সহায়তা করায় গতকাল দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন ইউএনও সজল চন্দ্র শীল। এরা হলেন- এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব হাবিবুর রহমান খান ও হল সুপার বাদশা আলমগীর খান। কর্তব্যে অবহেলার দায়ে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। জানা যায়, চলতি এসএসসি পরীক্ষায় বাকেরগঞ্জ জেএসইউ মডেল হাইস্কুল কেন্দ্রের বর্ধিত ভবনের ২ নম্বর রুমে হিমি নামের এক শিক্ষার্থী (রোল-৮০১৬৩৫) পরীক্ষা দেয়। গতকাল রসায়ন পরীক্ষার দিন হিমির পেছনের একটি সিটে কলেজপড়ুয়া বোরকা পরিহিত একটি মেয়ে হিমির উত্তরপত্র লিখে দেয়। হিমির মা উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান তহমিনা বেগম মিনু পরীক্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার মেয়ের (হিমি) রুমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে ইউএনও ছুটে এলেন। কিন্তু তিনি ওই কক্ষে ঢোকার আগেই কেন্দ্র সচিব ও হল সুপার ভুতুরে পরীক্ষার্থী মেয়েটিকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। পরীক্ষার হলের আসন বিন্যাসেও সত্যতা পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। নামপ্রকাশে একাধিক পরীক্ষার্থী জানায়, অন্যান্য পরীক্ষায়ও হিমির উত্তরপত্র লিখে দেয় প্রক্সি মেয়েটি। কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান বলেন, সিটপ্ল্যান স্যারেরা করেছেন। অভিযুক্ত হিমি নামের ওই পরীক্ষার্থীর পেছনের সিটটি ফাঁকা কেন? এ বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।