রবিবার, ২১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিজয়নগরে লিচুর বাম্পার ফলন

মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বিজয়নগরে লিচুর বাম্পার ফলন

জেলার বিজয়নগর উপজেলায় এবার লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বাগান মালিকরা খুশি। সীমান্তঘেঁষা উপজেলা বিজয়নগর। এ উপজেলায় প্রায় সব ধরনের কৃষিরই ভালো ফলন হয়। এর মধ্যে লিচুর সুনাম দেশজুড়ে। জানা যায়, প্রায় ৫০ বছর আগে থেকে বিজয়নগরে লিচু উৎপাদন শুরু হয়। ফলন হওয়ার পর থেকে দুই দফায় লিচু বিক্রি হয়। এর মধ্যে গাছে ফুল এলে প্রথম দফায় কৃষকদের কাছ থেকে গাছ কেনেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। মুকুল বের হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে গাছের লিচু বিক্রি করেন। উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিষ্ণুপুর, কাঞ্চনপুর, কাশিমপুর, সিঙ্গারবিল, আদমপুর, কালাছড়া, মেরাশানী, সেজামুড়া, কামালমুড়া, হরষপুর, মুকুন্দপুর, নোয়াগাঁও, অলিপুর, কাশিনগর, ছতুরপুর, বক্তারমুড়া, রূপা, শান্তামুড়া, কামালপুর, কচুয়ামুড়া, গোয়ালনগর, ভিটিদাউপুর, পত্তন এলাকায় লিচুর ফলন ভালো হয়। এসব গাছে পাটনাই, বম্বে, চায়না থ্রি, চায়না ২, এলাচি পাঁচ ধরনের লিচুর ফলন হয়।  বর্তমানে মালিকরা বাগানের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত। মুকুন্দপুর কামালমুড়া গ্রামের  মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, আমার ৭০টি লিচু গাছ আছে। ভালো ফলন হয়েছে। এ বছর ৫ লাখ টাকার লিচু বিক্রির আশা করছি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ১৫-২০ বছর ধরে লিচু বাগান করছি, কোনো দিন কৃষি অফিসের কোনো কর্মকর্তা বাগানে এসে খবর নেননি।

পাহাড়পুর ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, বেশি তাপমাত্রার কারণে লিচু লাল হয়ে যাচ্ছে। তবে বৃষ্টি হলে ঠিক হয়ে যাবে। কৃষকদের কাছাকাছি কম যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, পাহাড়পুর ইউনিয়নে তিনজন কর্মকর্তা থাকার কথা, আছি আমি একা। যারা যোগাযোগ করেন তাদের বাগানেই যাই।

বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাব্বির আহমেদ বলেন, উপজেলায় এ বছর ৪৩০ হেক্টর জায়গায় লিচুর আবাদ হয়েছে। লিচু বাগান আছে ৯০০টি। ১৯ কোটি টাকার লিচু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলায় ৩০ কর্মকর্তার প্রয়োজন থাকলেও মাত্র ১৮ জন দিয়ে কাজ চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর