শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
রাজশাহী

মেয়র পদে চারজন বৈধ লিটনকে জেতাতে অঙ্গীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

মেয়র পদে চারজন বৈধ লিটনকে জেতাতে অঙ্গীকার

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যাচাই-বাছাই শেষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া চারজন মেয়র প্রার্থীর সবাই বৈধতা পেয়েছেন। নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৭ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। দুজন প্রার্থীর ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন। গতকাল বিকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন এ ঘোষণা দেন।  প্রার্থিতা ফিরে পেতে ২৮ তারিখ পর্যন্ত আপিল করা যাবে। ১ জুনের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হবে। ভোট অনুষ্ঠিত হবে ২১ জুন।

লিটনকে জেতাতে ১৪ দলের অঙ্গীকার : রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ২১ জুন। এ সিটিতে শক্তিশালী প্রার্থী সদ্যসাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থীও তিনি। লিটনের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন ১৪-দলীয় নেতারা। গতকাল বিকালে ১৪ দল, রাজশাহীর উদ্যোগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমান চৌধুরী অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ হই’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন নেতারা।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা। সভায় ১৪ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

১৪ দলের অন্যতম নেতা ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। তারা নির্বাচন বিতর্কিত করতে তৎপরতা চালাচ্ছে। এ শক্তিকে রুখে দিতে খায়রুজ্জামান লিটনের বিজয়ের বিকল্প নেই। আগামী সিটি নির্বাচনে ১৪ দলের প্রার্থী লিটনের বিজয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

নগর জাসদের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী জানান, এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও তারা যে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করবে তা স্পষ্ট। তাই ১৪ দল সতর্ক অবস্থানে থাকবে। প্রার্থীর পক্ষে প্রচার শুরু হবে ২ জুন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ১৪ দলের নেতারা প্রচারে অংশ নেবেন।

মতবিনিময় সভায় খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের পুরনো খেলা আবার খেলছে। তারা নির্বাচনে আসতে চায় না, তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায়। তাদের শর্ত মেনে নিলে তারা নির্বাচনে আসবে। তাদের শর্ত মানার মতো নয়। তাদের শর্ত অসাংবিধানিক, সেটি মামাবাড়ির আবদার বলে জাতির কাছে মনে হচ্ছে। তাদের দাবি হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। অথচ সংবিধান বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই। দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলে দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আর প্রয়োজন নেই। ভারত, ইংল্যান্ডসহ উন্নত দেশে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার হয় সেভাবেই সরকার হবে, তার প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটি উন্নত, সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে হয়। আমরা এখন যথেষ্ট উন্নত। আয়ের দিক দিয়েও একটা পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। কাউকে মাঝখানে রেখে আমাদের ভোট করতে হবে, সেই বাস্তবতা নেই।

খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচনে আসেনি। এরপর তারা জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করেছে, মানুষের সর্বনাশ করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। যারা অগ্নিদগ্ধ তারা বুঝছে পুড়ে যাওয়ার কষ্ট। তারা আবারও মানুষকে ভয় দেখিয়ে নির্বাচন থেকে দূর রাখতে চায়। সেটি কি সম্ভব? ২০১৪ সালে নির্বাচন বন্ধ করতে পেরেছিল? পারেনি। নির্বাচন থেমে থাকেনি। এবারও থেমে থাকবে না। ২১ জুনের নির্বাচনে তিনি সবাইকে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর