শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
ভোটের হাওয়া

মাইকের শব্দে অতিষ্ঠ নগরবাসী

বরিশাল

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশাল সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণায় মাইকিংয়ের উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ নগরবাসী। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ শব্দদূষণ চলে। এতে কান স্তব্ধ হওয়ার অবস্থা বরিশালবাসীর। নির্বাচন বিধিমালায় সহনীয় শব্দে মাইকিংয়ের কথা থাকলেও তা মানছেন না প্রার্থীরা। একই জায়গায় বা স্বল্প দূরত্বে একাধিক প্রার্থীর মাইকিংয়ে অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে নগরীর বাসিন্দাদের। প্রচারণায় মাইকিং নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাকসুমুল হক। নগরীর বাজার রোডের তানজিলা আক্তার নামে এক ছাত্রী বলেন, এমনিতেই বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় ত্রাহী অবস্থা। এর ওপর উচ্চ শব্দে মাইকিং জীবন বিষিয়ে তুলছে। পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। মেয়র বা কাউন্সিলর পদে কে বা কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তা সবাই জানে। একই এলাকায় একজন প্রার্থীর একটু পর পর মাইকিংয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম নুরু বলেন, শব্দদূষণে বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের খুবই অসুবিধা হয়। শিশুরা ভীতসন্ত্রস্ত্র হয়ে যায়। এ থেকে মুক্তি চায় নগরবাসী। মাইকিংয়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে বুধবার রাতে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মাকসুমুল হক ফেসবুক ওয়ালে ‘নির্বাচনী প্রচারণায় মাইকের ব্যবহার অনতিবিলম্বে বন্ধ করা উচিত’ স্ট্যাটাস দেন।

বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা বলেন, একই অভিযোগ তো আমারও।

একসঙ্গে একাধিক মাইকের ব্যবহারে নাগরিকরা যন্ত্রণায় আছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশে নির্বাচনী প্রচারণায় মাইকিং জরুরি নয়। এটা মান্ধাতা আমলের পদ্ধতি। আধুনিক দুনিয়ায় প্রচারণায় মাইকিং মানায় না। তিনি এর পরিবর্তে নতুন পদ্ধতির দাবি জানান।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, মাইকিংয়ের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদফতরের একটা সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ করা আছে। কেউ শব্দমাত্রা অতিক্রম করলে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

নগরবাসীর অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ বিষয়টি দেখার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন। কয়েকজন প্রার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে মাইকের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে জেলা প্রশাসন ওই আবেদন নির্বাচন কমিশনে পৌঁছে দেবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর