শিরোনাম
শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
বাজার দর

পিঁয়াজের কিছুটা কমলেও বেড়েছে মাছের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

পিঁয়াজের কিছুটা কমলেও বেড়েছে মাছের দাম

বাজারে কমতে শুরু করেছে পিঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৩৫-৪০ টাকা কমে এখন ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পিঁয়াজ। স্বস্তি এসেছে সবজির দামেও। বিভিন্ন প্রকার সবজি ৫০ টাকার মধ্যে এসেছে। পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দামও কেজিতে ১০-২০ টাকা কমেছে। তবে মাছের দাম বেড়েছে। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে বরফ সংকট দেখা দিয়েছে। এতে মাছের সংরক্ষণ খরচ বেড়েছে। ফলে দাম বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। শনিরআখড়া বাজারে প্রতি কেজি দেশি পিঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ভারত থেকে আমদানি করা পিঁয়াজের দাম আরও কম। ভারতীয় পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। সবজির বাজারে দেখা গেছে, করলা প্রতি কেজি ৭০, শসা ৬০, বেগুন ৬০, পটোল ৫০, বরবটি ৬০, পেঁপে ৫০, ঝিঙা ৫০, ধুন্দল ৫০, গাজর ৮০, কাঁচা মরিচ ১৪০-১৫০, ঢ্যাঁড়শ ৪০, টম্যাটো ৬০, কাঁকরোল ৬০, মিষ্টিকুমড়া ৪০ এবং কাঁচকলা প্রতি হালি ৪০, চালকুমড়া ও জালিকুমড়া প্রতি পিস ৪০, লাউ প্রতি পিস ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর দামে পরিবর্তন দেখা যায়নি। ৪০ টাকার আশপাশে আটকে আছে আলুর কেজি, যা বছরের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি।

শনিরআখড়া বাজারে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী আহমেদ ফয়েজ খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, কয়েক আইটেম ছাড়া সবজির অনেক আইটেমের দাম বাড়তি। গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। কয়েক মাস থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৬০-৭০-এর ঘরে ছিল সব সবজির দাম। তবে আজকের বাজারে ৪০-৫০ টাকায় কিছু সবজি পাওয়া যাচ্ছে। আবার অনেক সবজি আছে যেগুলো এখনো ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজি বিক্রেতা আল আমিন শেখ বলেন, ‘কিছুদিন সবজির যে দাম ছিল সে তুলনায় আজ দাম কিছুটা কম। আমরা যখন যে দামে সবজি কিনি সে দামেই বিক্রি করি। কিছুদিন আগে পাইকারি বাজারেই আমাদের বেশি দামে সবজি কেনা লেগেছে তাই বেশি দামেই বিক্রি করেছি, এখন তুলনামূলক কম দামে কিনতে পারছি তাই বিক্রিও করছি কম দামে।’

ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লারের সঙ্গে সোনালি মুরগির দামও কমেছে। এর কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও ৩০০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম তেমন কমেনি। বড় বাজারে ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। পাড়ামহল্লার দোকানে পোলট্রি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।

মাছের দাম বাড়তি। রায়েরবাগ বাজারের মাছ বিক্রেতা খালেক হোসাইন বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের কারণে বরফের দাম বেড়েছে। তাই সব ধরনের মাছ কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’ বাজারে কম দামি মাছ হিসেবে পরিচিত তেলাপিয়া ও পাঙাশের দামও বেড়েছে। এ দুই ধরনের মাছ এখন প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও যা ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের রুইয়ের কেজি ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা। এ মাছের দামও গত সপ্তাহের চেয়ে এখন কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া পাবদা, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর