রংপুর বিভাগে আট জেলার পেট্রল পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেল চুরির প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিএসটিআইয়ের অভিযান, ভ্রাম্যমাণ আদালত করে পাম্প মালিকদের এ প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে ভোক্তারা প্রতি বছর কয়েক লাখ লিটার জ্বালানি তেল ওজনে কম পাচ্ছেন।
জানা গেছে, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁওসহ বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন উপজেলা সদরসহ হাট বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা কোম্পানির জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য প্রায় ৪০০টি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। বিভাগে প্রতিদিনের পেট্রল পাম্পগুলোর চাহিদা অনুযায়ী প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ লিটার ডিজেল, ২৮ লাখ লিটার পেট্রল এবং ৫ লাখ লিটারের মতো অকটেন বিক্রি হয়। অভিযোগ রয়েছে, প্রায় প্রতিটি পেট্রল পাম্পই প্রতিদিন কয়েক হাজার লিটার তেল কম দেওয়া হচ্ছে ভোক্তাদের। সঠিক দাম দিয়েও নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। ওজনে কম দেওয়ার পাশাপাশি নিম্নমানের তেল বিক্রি করায় যানবাহনগুলোর যন্ত্রংাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ওজনে কম দেওয়া রোধে কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন একাধিক ভোক্তা।
ওজনে কম দেওয়া এবং নিম্নমানের জ্বালানি তেল কেন বিক্রি করা হচ্ছে এমন প্রশ্ন করা হয় রংপুরের পেট্রল পাম্প মালিক অ্যাসোসিয়েশনের একাধিক নেতাকে। তবে তারা কেউ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে ওজনে কম এবং গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে ফিলিং স্টেশনগুলোর বিরুদ্ধে রবিবার রংপুরে বিএসটিআই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে পীরগাছার স্বপন ফিলিং স্টেশনকে পরিমাপে কম দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা, মেসার্স আজিরন ফিলিং স্টেশন ২০ হাজার টাকা এবং ভাই ভাই ফিলিং স্টেশনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে পঞ্চগড়ের জয় ফিলিং স্টেশনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিএসটিআইয়ের রংপুর বিভাগীয় অফিসের প্রধান উপপরিচালক (মেট্রোলজি) মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জ্বালানি তেলে ভেজাল ও ওজনে কম দেওয়া রোধে বিএসটিআইয়ের অভিযান চলমান রয়েছে।