যানবাহন সংকটে ধুঁকছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি)। ছয় থানায় রয়েছে মাত্র ৬টি গাড়ি। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের এবং যানবাহন মেরামতের বরাদ্দও পাওয়া যাচ্ছে না ঠিকভাবে। অভিযান চালাতে হয় ভাড়া করা গাড়ি দিয়ে। এর মধ্যে কোনোটি অকেজো হলে অর্থের সংকটে মেরামত করা জটিল হয়ে পড়ে। আবার সব থানার জ্বালানি তেলের বরাদ্দ নেই প্রয়োজন মাফিক। বাড়তি সময় ও অর্থ খরচের কারণে অভিযান ব্যাহত হচ্ছে পুলিশের।
জানা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশনের আয়তন ২০৩ বর্গ কিলোমিটার হলেও ২৩৯ দশমিক ৭২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আরপিএমপির যাত্রা শুরু হয়। আরপিএমপির থানাগুলো হলো- কোতোয়ালি, পরশুরাম, তাজহাট, মাহিগঞ্জ, হারাগাছ ও হাজীরহাট। নগরীর বুড়িহাট রোডে প্রায় তিন একর জমির ওপর তিন তলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে পুলিশ লাইনস চালু করা হয়। আরপিএমপির কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরে প্রত্যেক থানায় একটি করে গাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব গাড়ি নিজ নিজ থানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ পুলিশের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়। তবে একটি মাত্র গাড়ি হওয়ায় জরুরি প্রয়োজনে কোথাও অভিযান চালানো যায় না। আবার কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সময়মতো ঘটনাস্থলে যাওয়া যায় না।
সূত্র মতে, কোতোয়ালি থানায় ৪ থেকে ৫টি এবং অন্যান্য থানায় ২ থেকে ৩টি গাড়ি প্রতিদিন ভাড়া নিতে হয়। মাইক্রোবাস, পিকআপ ও অটোরিকশা ভাড়া করে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা। রাতে টহলে অথবা কোনো জরুরি কাজে গাড়ির প্রয়োজন হলে সময়মতো পাওয়া যায় না। ফলে স্বাভাবিক কাজ-কর্ম বিঘ্ন ঘটছে। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো যান নষ্ট হলে তা মেরামতেরও বরাদ্দ ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। মেরামত ও জ্বালানি তেলের খরচ বাবদ কয়েক লাখ টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী বলেন, প্রতিটি থানায় একটি করে গাড়ি আছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সেই থেকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর প্রশাসনিক ও অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।