হেরোইন সেবনের অনুভূতি দেওয়া নিষিদ্ধ ট্যাপেনটাডোল ট্যাবলেটের একটি বড় চালান জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো-উত্তর। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আসা এ নিষিদ্ধ মাদক জব্দের সময় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর হাজারীবাগের হাজী আফছার উদ্দিন রোডের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ২১ হাজার পিস ট্যাপেনটাডোল ট্যাবলেট এবং নগদ ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এ সময়ে তামজীদ পাটোয়ারী (২৯) ও মবিনুর রহমান (৩০) নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার তামজীদের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ। মবিনুরের বাড়ি শরীয়তপুরে। তিনিও সদ্য ¯œাতক সম্পন্ন করেছেন।
গতকাল দুপুরে তেজগাঁওয়ে ডিএনসির ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটওয়ারী এসব জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশের দুটি কোম্পানি থেকে সীমান্ত পার হয়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঢাকায় আসে মাদকগুলো।
প্রশান্ত সাহা নামে একজন মাদক ব্যবসায়ী (পেশা ডাক্তার) কুমিল্লার বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ট্যাপেনটাডোল মাদক দেশে নিয়ে আসেন। পরে তিনি বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তামজীদ ও মবিনুরের কাছে পাঠান। তামজীদ ও মবিনুর ট্যাপেনটাডোল সংগ্রহ করে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় মজুত করে। তাদের রাজধানীসহ মাদারীপুর ও কয়েকটি জেলা শহরে একাধিক ক্রেতা রয়েছে। ট্যাপেনটাডোল ব্যথানাশক ওষুধ হলেও অনেকে মাদক হিসেবে গ্রহণ করে। যারা মাদক সেবন করে তারাই এর ক্রেতা। এটি একটি অপিয়েড মাদক। হেরোইন সেবনের পর যে অনুভূতি হয়, এটা সেবন করলে তেমনটি হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
মজিবুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, এটা দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। যে কারণে এ ওষুধকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ মাদক সেবন করলে স্নায়ু দুর্বল হয় এবং অন্যান্য সব মাদকের কারণে শারীরিক যেসব সমস্যা হয় এটা সেবন করলেও একই ধরনের সমস্যা হয়। এর একেকটি ট্যাবলেট আমাদের দেশে ১০০ টাকা করে বিক্রি হয়ে থাকে। আর ডা. প্রশান্ত সাহার বিস্তারিত তথ্য গ্রেফতার দুই আসামির কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি।