খুলনায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযানের মধ্যে সন্ত্রাসী তৎপরতা ও সামাজিক অস্থিরতা উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। গত এক সপ্তাহে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে খুনোখুনি, দিনদুপুরে জুয়েলারি দোকানে ডাকাতি ও চাঁদাবাজি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন এলাকায় সংগঠিত হচ্ছে সন্ত্রাসীরা। ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের ঘটনাও ঘটছে।
জানা যায়, সর্বশেষ ২ নভেম্বর রাত ২টায় নগরীর শেরেবাংলা রোডে মো. রাসেল ওরফে পঙ্গু রাসেল নামের এক যুবককে গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় মো. সজিব ও ইয়াসিন নামে আরও দুই যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়। একই রাতে কমার্স কলেজ এলাকায় জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান বেলালকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, শেরেবাংলা রোডে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে রাসেলকে গুলি করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক, ডাকাতি অস্ত্রসহ ১১টি মামলা রয়েছে। এর আগে ২৮ অক্টোবর হামলায় মানিকতলা ট্রাক ইউনিয়নের শ্রমিক মো. মিলন নিহত ও দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা এলাকায় দত্ত জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রাইভেট কারে করে পাঁচজন ডাকাত দত্ত জুয়েলার্সের সামনে আসে। তারা পিস্তল ও ধারালো অস্ত্রের মুখে কর্মচারীদের জিম্মি করে নগদ টাকা ও সোনার গহনা লুট করে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, খুলনার সমন্বয়কারী আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ এখনো পুরোপুরি সক্রিয় না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা নতুন ছত্রছায়ায় একই ধরনের অপরাধে যুক্ত হয়। জানা যায়, ৫ আগস্টের পর কিছুদিন গা ঢাকা দেওয়ার পর শেখপাড়া, হাজী ইসমাইল রোড, টুটপাড়া, জিন্নাহপাড়া, লবণচরা, চাঁনমারী, খালিশপুর, আলমনগরসহ বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসীরা এলাকায় ফিরেছে। তারা একইভাবে প্রকাশ্যে মাদকের রমরমা ব্যবসা শুরু করেছে।
এদিকে গত দুই সপ্তাহে যৌথ বাহিনী নগরীর চাঁনমারীসহ রূপসা, তেরখাদা ও বটিয়াঘাটায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করলেও সন্ত্রীদের তৎপরতা বন্ধ হয়নি। অপরদিকে খুলনা মহানগরীকে চাঁদাবাজ, মাদক, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং মুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ মহড়া গণসংযোগ করছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। নগরীতে কোনো অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীর জায়গা হবে না।