খাগড়াছড়িতে ছুরিকাঘাতে চুমকি রানী দাশ (৫০) নামে এক নারী হত্যার ঘটনায় রাসেল নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বিকালে পুলিশ তাকে আটক করে। আটক রাসেল (২২) সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ও নিহত চুমকি দাশের প্রতিবেশী বলে জানা গেছে। পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হতাকাণ্ড ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার খাগড়াছড়ি শহরের অর্পণা চৌধুরীপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে চুমকি দাশকে ছুরিকাঘাতে খুন করে। এ সময় নিহতের গলার হার ও কানের দুলসহ প্রায় ৬ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। নিহত চুমকি দাশ ঘটনার সময় বাসায় টিভি দেখছিলেন। তিনি এলাকার তপন কান্তি দাশের স্ত্রী। এ ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দিতে তৎপর হয়ে উঠে একটি মহল।
জানা গেছে, মো. রাসেল চুমকি দাশের ছেলে প্রান্ত দাশ থেকে কয়েক দিন আগে ১ লাখ টাকা ধার নিয়েছিল। কিন্তু টাকা ফেরত না দেওয়ায় প্রান্তের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। হত্যার আগে রাসেল চুমকি দাশের সঙ্গে কথা বলতে বাসায় গিয়েছিল।
খাগড়াছড়ি পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি অশোক মজুমদার বলেন, এটি বিচ্ছিন্ন ও চুরির ঘটনা। ওই নারীর শরীরের স্বর্ণালংকার নিয়ে যেতে বাধা দেওয়ায় তাকে খুন করা হয়েছে।
এ ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা নিছক অপপ্রচার।
চুমকি দাশের ছেলে প্রান্ত দাস জানান, সন্ধ্যায় গরম কাপড় নিতে গেলে ঘরের মেঝেতে তার মায়ের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, সন্দেহভাজন হিসাবে রাসেলকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।