‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন : বিতর্ক ও পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, নারী সংস্কার কমিশনে ইসলামিক স্কলার না থাকায় নারী-পুরুষের দ্বন্দ্ব তৈরি করা হয়েছে। নারীর সমতা নয় বরং নারীর ন্যায্যতা দরকার। এর জন্য বিতর্কিত সংস্কার কমিশন বাতিল করে নারী নির্যাতন রুখতে শক্তিশালী আইন এবং তার প্রয়োগ দরকার। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সেমিনারটির আয়োজন করে ওয়ান ইনিশিয়েটিভ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট। বক্তব্য রাখেন, মানারাত ইন্টারন্যাশন্যাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব, সম্মিলিত নারী প্রয়াসের সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী আরা খানম, আইপাস বাংলাদেশের সিনিয়র অ্যাডভাইজর ডা. শামিলা নাহার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক আরিফুর রহমান অপু, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শামীমা তাসনীম, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শাহীন আরা আনোয়ারী প্রমুখ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, কমিশনের এসব সুপারিশ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থান তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শাহীন আরা আনোয়ারী বলেন, যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতির প্রস্তাব দেওয়ার মাধ্যমে সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ব্যাধী ছড়িয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। সংস্কার কমিশন নারীকে বিবস্ত্র করতে চাইছে। আমাদের সন্তানদের যৌনাচারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সম্মিলিত নারী প্রয়াসের সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী আরা খানম বলেন, ৯০ শতাংশ মুসলিম দেশে নারী সংস্কার কমিশনে ইসলামিক স্কলার না রেখে পুরুষকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। আমরা নারীর সমতা নয় বরং ন্যায্যতা চাই।
ঢাকা মহানগরী জামায়াতের নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট ন্যায্যতাকে প্রাধান্য না দিয়ে এগ্রিসিভনেসকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ফলে মানুষকে বৃদ্ধাশ্রমের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাই নারী সংস্কার কমিশনকে বাতিল করে নতুন করে সংস্কার কমিশন গঠন করার দাবি জানাই।
লেফটেন্যান্ট অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল হাসিনুর রহমান বলেন, নারী সংস্কার কমিশন নারীকে পণ্য বানানোর কমিশনের সব প্রস্তাব দিয়েছে। আমাদের পরিবার থেকে আমাদের স্ত্রী-মেয়েদের ছিন্ন করার এক পাঁয়তারা করা হচ্ছে।