রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি আরও বাড়বে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এ সময় তিস্তা নদী লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলায় সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। তবে ২য় ও ৩য় দিন নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। গতকাল বিকালে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, দুই সপ্তাহ আগে উজানের পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছিল। এতে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরগুলো প্লাবিত হয়েছে। ফলে চরাঞ্চলের মৎস্য চাষিদের পুকুরের মাছ ভেসে যায়। তিস্তার নিম্নাঞ্চলে রোপা আমন ও সবজি খেত পানিতে ডুবে যায়। রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম জেলার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এ ছাড়া তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে গঙ্গাচড়া সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার জায়গার ব্লক ধসে যায়। এতে ভাঙনের হুমকিতে পড়েছিল সেতু ও রংপুর-লালমনিরহাটের যোগাযোগ সড়ক। বর্তমানে নদীর তীরবর্তী এলাকায় আমন আবাদের পুরো মৌসুম চলছে। আবার বন্যা হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় তিস্তার যালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমার ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। পানি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে একই সময়ে কাউনিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ২৮ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার।