মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত লেখক, গবেষক ও তাত্ত্বিক বদরুদ্দীন উমর। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দিও দিয়েছিলেন তিনি। তবে ট্রাইব্যুনালে এসে সাক্ষ্য দেওয়া হয়নি। গতকাল এ কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম। ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ নিয়ে প্রসিকিউশনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার ২ নম্বর সাক্ষী ছিলেন বদরুদ্দীন উমর। তার মৃত্যুতে এই মামলায় প্রসিকিউশন ক্ষতিগ্রস্ত হলো কি না? জবাবে প্রসিকিউটর গাজী তামীম বলেন, প্রয়াত বদরুদ্দীন উমর শেখ হাসিনার মামলায় একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন।
তিনি ট্রাইব্যুনালে এসে সাক্ষ্য দিতে পারেননি, তবে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে উনি ওনার সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ১৯(২) ধারা অনুযায়ী কোনো সাক্ষী যদি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জবানবন্দি দিয়ে মারা যান, সেক্ষেত্রে প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। আইনে এরকম সুযোগ আছে। প্রসিকিউশন আবেদন করবে কি না সে বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু প্রসিকিউশন এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, বদরুদ্দীন উমরের জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করা হবে কি না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সুপিরিয়র কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি বা ঊর্ধ্বতনের নির্দেশনার দায়সহ জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচার চলছে। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। সাবেক আইজিপি মামুন দোষ স্বীকার করে মামলায় রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রুভার) হয়েছেন।
