শারদীয় দুর্গাপূজার বাকি আর মাত্র চার দিন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ উৎসবকে কেন্দ্র করে সারা দেশের মার্কেটগুলোতে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিংমল, আজিজ সুপার মার্কেট, শাঁখারীবাজার, নিউ মার্কেট, রাপা প্লাজা, মৌচাক মার্কেট, ইস্টার্ন প্লাজা, মিরপুর শপিং মল, আড়ং, উত্তরার রাজলক্ষ্মী শপিং মলসহ বিভিন্ন বিপণিবিতানে বেশ কিছু দিন ধরেই চলছে পূজার কেনাকাটা।
দেখা যায়, বসুন্ধরা সিটিতে বর্ণিল পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতারা। নানান অফার ও নতুন কালেকশন নিয়ে এসেছে বড় ব্র্যান্ডগুলো। ক্রেতারাও ব্যস্ত কেনাকাটায়। ইজি ফ্যাশন, আর্টিসান, টুয়েলভ, জেন্টল পার্ক, ইনফিনিটি, রিচম্যান, লুবনানের মতো অনেক জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। লেভেল ফোরে শাড়ির দোকানগুলোতেও খুব ভিড় দেখা যায়। বিক্রেতারা বলছেন, এবার বিক্রি ভালো। জামদানি, কাতান, সিল্ক, সুতি ও তাঁতের শাড়ির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এমব্রয়ডারি শাড়ি ও লেহেঙ্গাও নারীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। থ্রি-পিস ও পাঞ্জাবির চাহিদাও কম নয়। এ ছাড়া শাঁখা, সিঁদুর, মালা, চুড়ি, আলতা, লাল টিপ ইত্যাদি কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা। রাজধানীর নিউমার্কেটে জিন্স প্যান্ট বিক্রি হতে দেখা যায় ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা, ড্রপ সোল্ডার টি-শার্ট ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শার্ট ৫০০ থেকে হাজার টাকা, টি-শার্ট ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। যমুনা শপিং মলে আসা ব্যাংকার ছোটন রয় বলেন, দুপুরে এসেছি। কারণ এই সময়ে ভিড় কিছুটা কম থাকে। রাজধানীর মৌচাকে শিশুদের কোলাহলে মুখর ছিল মার্কেটের অলিগলি। জামাকাপড় ও আনুষঙ্গিক কসমেটিকসের দোকানগুলোতে নারী ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। ক্রেতার চাপ ছিল মৌচাক থেকে মালিবাগ পর্যন্ত ফুটপাতের দোকানগুলোতেও। বিক্রেতা সোহেল মিয়া বলেন, পূজায় মূলত শাড়ি ও পাঞ্জাবিই বেশি চলে।
নগরীর ইমিটেশনের গহনার দোকানগুলোতেও বেশ ভিড় লক্ষ্য করা যায়। নারীরা পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চুড়ি, গলার হার, আংটিসহ নানানরকম অলংকার কিনছেন। জুয়েলারি, সিঁদুর, চুড়িসহ অন্যান্য অনুষঙ্গ বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে বলে জানান দোকানিরা।
পূজার জন্য প্রায় ১০০ উপকরণের প্রয়োজন হয়। পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারে সব উপকরণই পাওয়া যায়। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এখানেই আসেন। শাঁখারীবাজারে শঙ্খ, শাঁখা, সিঁদুরসহ পূজার সামগ্রীর দোকানগুলোতে ভিড় থাকে ক্রেতা-বিক্রেতার। ঢাকার আশপাশের বিক্রেতারাও পাইকারি দরে জিনিস কিনতে এখানে আসেন।