করোনার ভয়াবহতায় সবকিছু স্থবির হয়ে পড়লেও অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতারের অভিযান থেকে বিরত হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এর এজেন্টরা। এমনকি ইমিগ্রেশন কোর্টও চালু রাখা হয়েছে। এর ফলে লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসী চরম সংকটে দিনাতিপাত করছেন। করোনার কারণে জরুরি অবস্থা চলতে থাকায় অবৈধ অভিবাসীরাও কর্মহীন অর্থাৎ নিজ ঘরেই অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এতে আইসের জন্য খুব সহজ হয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার করা। করোনাভাইরাসের তাণ্ডব চলায় আইসকে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার অভিযান থেকে বিরত থাকা এবং ইমিগ্রেশন কোর্ট বন্ধ ঘোষণার দাবিতে ১৭ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে পালকি পার্টি সেন্টারে।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ্যে বাংলাদেশি-আমেরিকান অ্যাটর্নি এবং ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার মঈন চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, স্টেট অব ইমার্জেন্সি চলাকালে আইসের তৎপরতা স্থগিত করা উচিত। ইমিগ্রেশন কোর্ট বন্ধ হওয়া জরুরি। কারণ, লোকজনকে বাসায় থাকতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে করোন ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ার স্বার্থে। অ্যাটর্নি মঈন উল্লেখ করেন, ট্যাক্স রিটার্নের সময় ১৫ এপ্রিল থেকে ৯০ দিন বাড়ানো হলো। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এপ্রিলের শেষ দিন পর্যন্ত। ১০ জনের বেশি মানুষ জমায়েত না হবার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ অবস্থায় অবৈধ অভিবাসীদের ধর-পাকড় বন্ধ করা দরকার। একইভাবে এসাইলাম (রাজনৈতিক আশ্রয়)-এর আবেদনের সময়সীমাও বাড়াতে হবে। ইমিগ্রেশনের আইন লংঘনের জন্যে যাদেরকে ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হয়েছে, তাদেরকে প্যারলে মুক্তি দিতে হবে। এসবই মানবিক বিবেচনায় আনতে হবে।
অ্যাটর্নি মঈন উল্লেখ করেন, আদালত যদি খোলা রাখা হয়, তাহলে মক্কেলরা সেখানে যাবেন কীভাবে? করোনা তাণ্ডবে সন্ত্রস্ত অঞ্চলের মানুষদের জন্য ফেডারেল ও রাজ্য প্রশাসন অনেক সদয়। অবৈধ অভিবাসীরাও মানবিকতার দৃষ্টির বাইরে থাকা উচিত নয়। অ্যাটর্নি মঈন আরও বলেন, ইতিমধ্যেই আমি কংগ্রেস এবং স্টেটের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণের সাথে কথা বলেছি। হোয়াইট হাউসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি এ ব্যাপারে নির্বাহী আদেশ জারির জন্য। উল্লেখ্য, ১০ জনের বেশি মানুষ একত্রিত না করার নির্দেশ থাকায় কয়েক দফায় অনুষ্ঠিত হয় এই সংবাদ সম্মেলন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক