করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হেরে গেলেন লোরেঞ্জো সাঞ্জ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার মারা গেছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
১৯৯৫-২০০০ সাল পর্যন্ত স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন সাঞ্জ। এই সময়ের মধ্যে গ্যালাকটিকোরা দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করেছিল।
সাঞ্জের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার ছেলে লোরেঞ্জো সাঞ্জ জুনিয়র টুইট করে বলেছেন, ‘আমার বাবা মারা গেছেন। এই ধরনের মৃত্যু তার প্রাপ্য ছিল না। আমার চোখে তিনি ছিলেন সেরা, সাহসী ও কর্মঠ একজন মানুষ। পরিবার ও রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাবই তার কাছে সবকিছু ছিল।’
তিনদিন আগে সাবেক পেশাদার বাস্কেটবল খেলোয়াড় সাঞ্জ জুনিয়র বলেছিলেন তার বাবা করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে মাদ্রিদের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
কোভিড-১৯’এ আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত স্পেনে ১৩২০ জন মারা গেছেন।
৮০’র দশকের মাঝামাঝিতে রামোন মেনডোজা যখন মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ওই সময় সাঞ্জ রিয়ালের বোর্ড সদস্য হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিলেন। এরপর ১৯৯৫ সালে মেনডোজার স্থানেই রিয়ালের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাঞ্জ।
কোচ জুপ হেইঙ্কেসের অধীনে ডেভর সাকার, রবার্তো কার্লোস, ক্লারেন্স সিডর্ফ, ফার্নান্ডো হিয়েরো ও রাউলের মত তারকাসমৃদ্ধ রিয়ালের দলটি ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জুভেন্টাসকে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছিল। এটা রিয়ালের সপ্তম ইউরোপীয়ান কাপ হলেও ৩২ বছরে ছিল প্রথম। দুই বছর পর প্যারিসে ভ্যালেন্সিয়াকে পরাজিত করে আবারো শিরোপা জয় করে রিয়াল।
ওই একই বছর ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের কাছে পরাজিত হয়ে প্রেসিডেন্টের পদ হারান সাঞ্জ। পেরেজের অধীনে নতুন যুগে প্রবেশ করে গত দুই দশকে রিয়াল পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করেছে।
রিয়ালের অধিনায়ক সার্জিও রামোস সাঞ্জের মৃত্যুর সংবাদে টুইটারে বলেছেন, ‘এটা রিয়ালের জন্য অত্যন্ত দুঃখের একটি দিন। কালও তিনি বেঁচে ছিলেন আর আজ তিনি ইতিহাস। এই কঠিন সময়ে তার মৃত্যু আমাদেরকে আরও বেশী হতাশ করে তুলেছে। তার পরিবার ও বন্ধুদের জন্য আমার গভীর সমবেদনা থাকলো। শান্তিতে ঘুমাও প্রেসিডেন্ট।’
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম