প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার তৈরি করে জনসাধারণের মাঝে বিতরণের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন।
রবিবার জনস্বার্থে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংশ্লিষ্টদের এই আহ্বান জনান সচিব।
তিনি বলেন, দেশে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এরই মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব প্রতিষ্ঠান। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বিতরণ কার্যক্রম।পরীক্ষার্থীদের নিজ বাসায় থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন সচিব।
একই সাথে শিক্ষার্থীরা যেনো বাইরে ভ্রমণ কিংবা কোচিং-প্রাইভেটে না যায় সেই দিকে অভিভাবকদের লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান তিনি।
করোনা প্রতিরোধে সবাইকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহ্বান জানান সচিব।
তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রতিরোধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শত্রুপক্ষকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে বাঙালি জাতি। তেমনি সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণেই করোনাভাইরাস মোবাবেলা সম্ভব।
সচিব আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির সম্পদ। তাদের সুরক্ষায় সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। এসময় তিনি করোনা মোবাবেলায় সবাইকে সচেতন হবার আহবান জানান।
এদিকে, করোনা আতঙ্কে শিক্ষা বোর্ডে কমে গেছে সেবা প্রার্থীদের আনাগোনা। বিদেশ ভ্রমণের পর হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোকবুল হোসেন সভা-সমাবেশসহ দাপ্তরিক কাজে অংশ নেয়ায় সংক্রমণ আতঙ্কে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ঘটনা জানাজানি হবার পর শনিবার চেয়ারম্যানকে সর্তক করে জেলা প্রশাসন।
রবিবার তিনি দপ্তরে আসেননি। চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার দিয়েও যাননি। এতে দাপ্তরিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সেবা প্রার্থীদের।
জানতে চাইলে বোর্ডের গণসংযোগ কর্মকর্তা সুলতানা শারমিন আক্তার বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর দেশে ফিরেছেন চেয়ারম্যান। তারপরও ২৫ মার্চ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তিনি। রবিবার তিনি অফিস করেননি। তবে বাংলোয় বসে ফাইলপত্র সই করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন