বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। ফলে প্রায় গোটাবিশ্বই এখন কোয়ারেন্টাইন পর্যায়ে। এরই মধ্যে ১৯২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। বাংলাদেশেও বাড়ছে সংক্রমণ-মৃত্যু। ফলে সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে জ্বর, সর্দি-কাশিসহ করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ফেনী থেকে পালিয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক গাড়িচালক। তিনি প্রবাসফেরতদের তার গাড়িতে বহন করেছেন কয়েকদিন। এতে উপসর্গ দেখা দেওয়ায় ওই ব্যক্তির খোঁজে তার অবস্থান করা বাড়িতে যান স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন। কিন্তু তিনি আগেই পালিয়ে যাওয়ায় ওই বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়।
ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পরে আজ সোমবার সকালে ওই ব্যক্তি নিজেই করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) যান বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। তবে কীভাবে, কোন বাহনে তিনি ঢাকায় পৌঁছান তা জানা যায়নি।
ওই ব্যক্তির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভোর ৫টায় তিনি আইইডিসিআরে পৌঁছান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের দেখা পান তিনি। তখন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা তাকে একটি কার্ড নিয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। কোনো ধরনের সুরক্ষা বলয়ের মাধ্যমে তাকে পাঠানো হয়নি।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, তিনি কুর্মিটোলা হাসপাতালে অবস্থান করছেন।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজধানীর নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির অফিস সহকারী ছিলেন তিনি।
ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া বাজারে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে রবিবার রাতে ওই ব্যক্তি অবস্থান করা সেতু বিল্ডিংটি 'লকডাউন' করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত কয়েকদিন প্রবাসফেরত ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ওই বাড়িতে উঠেছিলেন তিনি। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যান।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম