চীনের উহানে করোনভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬৫ এবং মারা গেছেন ১৬ হাজার ৫১৫ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৬৯ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯২৪ জন। এছাড়াও করোনায় মারা গেছেন ৩৪ জন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে।
তাই ব্রাজিলের শীর্ষস্থানীয় ফুটবল ক্লাবগুলো করোনা মোকাবেলায় অস্থায়ী হাসপাতাল বানাতে নিজেদের স্টেডিয়ামগুলো ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। করোনার কারণে ব্রাজিলে খেলা বন্ধ রয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত। তাই দেশটির অর্ধেকেরও বেশি ক্লাব এই মহৎ উদ্যোগের ঘোষণা দিয়েছে।
দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়ন ফ্লেমেঙ্গো তাদের বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এখন এই স্টেডিয়ামের নিয়ন্ত্রণ নেবে রিও ডি জেনিরোর স্বাস্থ্য অফিস। ফ্লেমেঙ্গোর মতো স্টেডিয়াম ছেড়ে দিচ্ছে করিন্থিয়ান্সও। তাদের ইতাকুয়েরো স্টেডিয়ামটিও এই কাজের জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের অনুশীলনের মূল সদর দফতরটিও এই কাজে ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, করোনা আক্রান্তদের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সহায়তা দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। নির্ধারিত হাসপাতালের বাইরে প্রয়োজন পড়ছে অস্থায়ী হাসপাতালের। এমন পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রমী নজির স্থাপন করেছে ব্রাজিলের শীর্ষস্থানীয় ফুটবল ক্লাবগুলো।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন