ভোলার লালমোহন উপজেলার চরউমেদ ইউনিয়নে করোনা উপসর্গ নিয়ে আবুল কালাম (৫০) নামের এক ব্যক্তি মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা: মহসিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় তার বাড়িসহ স্থানীয় দু'টি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। এদিকে, আবুল কালামের নমুনা পরীক্ষার জন্য আজ শনিবার ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাক্তার রতন কুমার ঢালি।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুরে জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মত্যু হয়। এ ঘটনায় তার বাড়িসহ স্থানীয় দু'টি গ্রাম লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
ডা: মহসিন খান জানান, আবুল কালামের বড় ছেলের বউ গার্মেন্টস কর্মী গত ৭ দিন আগে ঢাকা থেকে লালমোহন নিজ বাড়িতে আসে। তারপর গত ৫ দিন ধরে আবুল কালাম জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। শুক্রবার দুপুরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ভোলা নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। কিন্তু প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে কোনও সুরক্ষা ছাড়াই তাকে রাতে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় ওই উপজেলার চরউমেদ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের গুচ্ছগ্রাম ও ৩ নং ওয়ার্ডের কাশ্মীর গ্রাম এবং ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের দুইটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
ভোলার সিভিল সার্জন ডাক্তার রতন ঢালি জানান, মৃত ব্যক্তির নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে নিশ্চিত হওযা যাবে।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১০ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৭৪ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে এবং সবগুলোই নেগেটিভ এসেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ