নেত্রকোনার পূবর্ধলায় এই প্রথম দুই চিকিৎসকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) করোনা পজেটিভ হওয়ায় তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এ নিয়ে জেলায় গত ১১ দিনে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩৩ জন। তাদের মধ্যে একজন স্টাফনার্সসহ চারজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারী। এছাড়া বাকী ২৬ জন পোশাককমীসহ বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিক। তারা প্রত্যেকেই নরসিংদী, নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে আসা। তবে পূর্বধলায় ডাক্তাররা কিভাবে আক্রান্ত হয়েছেন তার কারণ জানা যায়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মাহমুদা আক্তার জানান, আমরা তো নিজেরাও নমুনা পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে যাচ্ছি। তাছাড়া হাসপাতালে বিভিন্ন রোগী আসছেন প্রতিদিন। আক্রান্তরা একজন নিজ বাসায় এবং অপরজন কোয়ার্টারেই আইসোলেশনে আছেন।
তিনি আরও জানান, ডাক্তার নার্সরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আসলেও যারা সহযোগিতা করার কথা তারা কোনো সহযোগিতা করছেন না। এমনকি গ্লাভস মাস্কসহ প্রটেকশন সরঞ্জামাদিও পর্যাপ্ত পাচ্ছি না। পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্স কক্ষের দ্বায়িত্বে যিনি তিনি আসেননি। না করেছেন আসবেন না। আমরা বসে আছি।
বুধবার বেলা ১২টা থেকে কনফারেন্স হওয়ার কথা ছিল। বুঝতে পারছি না কি করবো। আমরাতো গত একমাস ধরে মাঠেই আছি। হাসপাতাল লক ডাউন করা হবে কিনা এ ব্যাপারে তিনি বলেন, অনেক রোগী আসে প্রতিদিন। লক ডাউন হলে তারা চিকিৎসা নেবে কোথায়। এসকল ব্যাপার নিয়েই তারা ভাবছেন বলেও জানান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, সিভিল সার্জন বরাবরে সরঞ্জামদি দেয়া হয়েছে। না পাওয়ার তো কথা নয়। তারপরও বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। এদিকে আক্রান্ত ডাক্তারদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে উনাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
উল্লেখ্য, করোনা শনাক্তদের মাঝে বারহাট্টা উপজেলায় ১১ জন, নেত্রকোনা সদরে ৪ জন, খালিয়াজুরি উপজেলায় ৪ জন, কেন্দুয়ায় ২ জন, মোহনগঞ্জে ৪ জন, কলমাকান্দায় ৩ জন, আটপাড়ায় ২ জন, পবূধলায় ২ জন ও মদনে ১জন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম