লকডাউনেও তীব্র যানজট ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা শহরের বাণিজ্যিক এলাকায় পরিলক্ষিত হয় স্বাভাবিক চিত্র। যানবাহন আর মানুষের ঠাসাঠাসি ভিড়। শহরের কে দাশ মোড়ে গাড়ির চাপে যানজটও সৃষ্টি হয়। শহরের সড়ক বাজার, জগৎ বাজার, মসজিদ রোড, নিউ সিনেমা রোড, নিউমার্কেট রোডসহ শহরের পূর্বপাশের এলাকাজুড়ে দেখা গেছে এ চিত্র।
শুধু যানবাহন আর মানুষের গাদাগাদি নয় খোলা রয়েছে সব ধরনের দোকানপাটও। সড়কবাজারে ক্রোকারিজের দোকানও খোলা। শহরের অন্যতম আনন্দবাজার, ফারুকীবাজার, মেড্ডা বাজার, কাউতলী ও বর্ডারবাজারে প্রতিদিনই থাকে উপচে পড়া ভিড়। রোজার ২ দিন আগে সেই ভিড়ের মাত্রা বেড়েছে অনেক। যানবাহনের চাপে কে দাশ মোড় ও ছাতিপট্টিরোড ও সড়ক বাজার রোডে যানজটও সৃষ্ট হয়। বাজারে আসা লোকজন অনেকে দূর দূরান্ত থেকে এসেছেন। তবে লকডাউনের মধ্যে এমন চিত্রে উদ্বেগ রয়েছে সচেতন মানুষের।
১১ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।
লকডাউন ঘোষণায় এ জেলায় অন্য জেলার জনসাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিষিদ্ধ করা হয়। বলা হয় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়ক-মহাসড়ক এবং নৌ পথে অন্য কোন জেলা থেকে কেউ এ জেলায় প্রবেশ করতে কিংবা এ জেলা থেকে অন্য কোন জেলায় গমন করতে পারবেন না। জেলার অভ্যন্তরে আন্তঃ উপজেলা যাতায়াতের ক্ষেত্রেও একই রকম নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার এবং সকল ধরণের গণপরিবহন, জনসমাগম বন্ধ থাকার কথা বলা হয়।
এ আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয় ঘোষণায়।
এদিকে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিনই। ৩ চিকিৎসকসহ এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ জন। মারা গেছেন ২ জন। আইসোলেশনে রয়েছেন ২৬ জন। গত ১০ মার্চ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্যে পাঠানো শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৭০২ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার