ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ফেনীতে রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছেন। এর ফলে দীর্ঘ এক ঘণ্টা ফেনীর সাথে সারাদেশের বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে ফেনীর গোডাউন কোয়ার্টার এলাকায় আঞ্চলিক মহাসড়ক ও রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি করা হয়েছে। এক ঘণ্টার এই অবরোধে শহরে দেখা দেয় তীব্র যানজট ও জনভোগান্তি। পরবর্তীতে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ ছেড়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা জানান, দেশে ৪০ লক্ষাধিক ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও প্রায় ৪ লাখ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাদের দাবি, বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত তিন দফা দাবি ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। এ ধরনের দাবিতে জাতীয় কর্মক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে এবং শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়বে।
সড়ক ও রেলপথ অবরোধের খবর পেয়ে ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন সুলতানা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামছুজ্জামান ও গোয়েন্দা শাখার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে তাঁদের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে বারোটার দিকে সড়ক থেকে সরে যান।
বক্তারা ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সাত দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে-
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কর্তৃক ১৯৭৮ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ব্যতীত অন্যদের নিয়োগ বন্ধ।
১৯৯৪ সালে খালেদা জিয়া কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অমান্য করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের নিম্ন পদে নিয়োগ বন্ধ।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের গুণগত মান রক্ষায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আনুপাতিক হার ১:১২ করে শিক্ষকস্বল্পতা দূরীকরণ। কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের ছয় দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন।
এ সময় জেলার ফেনী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইসিএসটি) ও কম্পেক্ট পলিটেকনিকসহ হাজারের অধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা আন্দোলনে অংশ নেন।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ