করোনার বিস্তার মোকাবেলায় সরকারের আশু, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী ‘কর্মপরিকল্পনা তথা রোড ম্যাপ (Road map)’ প্রকাশ করে উদ্বিগ্ন জাতিকে আশ্বস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। আজ বৃহস্পতিবার তিনি এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেরিতে হলেও সরকার করোনা সংক্রান্ত একটি টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি গঠন করে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বনামধন্য বাংলাদেশি স্বাস্থ্য এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিত্বকে অন্তর্ভুক্ত করলে এই কমিটি আরো কার্যকর হবে। এই কমিটিতে বিএমএ এর পাশাপাশি অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠন যেমন নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক। এতে কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন সংশ্লিষ্ট জনগোষ্টির পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে। এর মাধ্যমে করোনা মোকাবেলায় গঠিত টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটিতে জাতীয় মেধার ঐক্যের প্রতিফলন ঘটবে।
এই বিবৃতিতে করোনার সফল মোকাবেলায় ৪ টি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো :
১. করোনা বিস্তারের ভিত্তিতে নিকট ভবিষ্যৎ ও তৎপরবর্তীতে করোনা প্রাদুর্ভাবের গাণিতিক মডেল (Mathematical Model) তৈরি করা, সে অনুযায়ী করোনা নির্মূলের আশু, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মপরিকল্পনার রোড ম্যাপ প্রনয়ণের দায়িত্ব এই টেকনিক্যাল কমিটিকে অর্পণ করা।
২.পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ও বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা; এর দায়িত্ব হবে বিদেশে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় অর্জিত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের বাস্তবতায় গ্রহণযোগ্য বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করা।
৩. এই কমিটিকে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাক-আপ সহায়তা প্রদানের জন্য আইইডিসিআর, নিপসম, আইপিএইচ, আইসিডিডিআরবি ও গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ন্যায় জনস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সংযুক্ত করা।
৪. টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির জন্য সকল ডিজিটাল সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় লোকবলে সুসজ্জিত ‘সার্বক্ষণিক কার্যালয় (round the clock, 24/7)’ অবিলম্বে স্থাপন করা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
.jpg)
