করেনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শুরু থেকেই মাঠপর্যায়ে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাওয়া সেই পুলিশেও এখন ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার পর্যন্ত সারাদেশে মোট ২১৭ জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের সুরক্ষা ও চিকিৎসায় তিনটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
এসব হাসপাতালে একসঙ্গে ৬০০ জন পুলিশ সদস্য চিকিৎসা নিতে পারবেন। বুধবার এগুলো চূড়ান্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতর জানায়, ইতোমধ্যে ঢাকার রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের। বাকি দুটি হচ্ছে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল ও সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এই দুই হাসপাতালে মোট ৪৫০টি বেড রয়েছে।
আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেছেন, পুলিশ সদস্যদেরকে সুরক্ষাসামগ্রী দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানো যাবে না। ইতোমধ্যে সুরক্ষাসামগ্রী ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন ইউনিটকে পর্যাপ্ত আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের জন্য ভিটামিন সি, ডি এবং জিংক ট্যাবলেট কেনা হচ্ছে। শিগগিরই তা বিভিন্ন ইউনিটে পাঠানো হবে।
করোনাভাইরাস সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে জানিয়ে আইজিপি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের অন্যান্য হাসপাতালগুলোতেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এছাড়া দেশের পাঁচটি বিভাগে চিকিৎসার আয়োজন করা হচ্ছে। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের ঢাকায় যে চিকিৎসা দেয়া হবে, একই চিকিৎসা বিভাগীয় হাসপাতালেও দেয়া হবে। তাদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্যমতে, আক্রান্ত ২১৭ জনের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ১১৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জন। মোট আক্রান্ত ১১৭ জনের কেউ এখনও সুস্থ নন। তাদের মধ্যে রয়েছেন চারজন সিভিল স্টাফ।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম