কক্সবাজারের টেকনাফে আরও এক করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি গত ১০ দিন আগে ঢাকা তাবলীগ থেকে টেকনাফে ফেরত আসেন। আক্রান্ত ব্যক্তি হলেন, উপজেলার হোয়ইাক্যং ইউনিয়নের খারাইংগ্যাঘোনা গ্রামের বাসিন্দা আলি হোসেনের ছেলে মোঃ ইদ্রিস (৪২)। আক্রান্ত ব্যক্তিকে উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের আইসোলেশনে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে কক্সবাজার মেডিকেলে তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ পাওয়ার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল। এর আগে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত টেকনাফে ১০৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। ওই তাবলীগ ফেরত ব্যক্তির করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এলেও বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
এর আগে গত রবিবার ঢাকা কারওয়ান বাজার ফেরত এক ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজেটিভ পাওয়া যায়। টেকনাফে এ পর্যন্ত দুইজনের করোনা শনাক্ত হলো। আজ নতুন করে ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের ১৪ জনই হোম কোয়ারেণ্টাইনে রয়েছে। এ পর্যন্ত ৬২১ জন হোম কোয়ারেণ্টাইনে রয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিনের ১৪ দিন মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৩৭ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ৪৮৪ জন।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা শনাক্ত মোঃ ইদ্রিস তাবলীগ থেকে ফেরত আসার পরে সন্দেহজনক হওয়ায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এ খবর আসার পর বিষিয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে লাল পতাকা পুঁতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, টেকনাফে দুইজন করোনা রোগী শনাক্ত হলো। এর মধ্যে গত রবিবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকা ফেরত উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকার মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মোঃ হোসেন(৫৫)।
এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে রাতের বেলা দোকান খোলা রাখা ও অযথা বাইরে ঘুরাঘুরি করায় দায়ে সাড়ে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবুল মনসুরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হোয়াইক্যং খারাইংগ্যাঘোনা এলাকায় নতুন করোনা পজিটিভ রোগীর বাড়িতে লাল পতাকা পুঁতে লকডাউন ঘোষণা করেন। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তিকে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে নিয়ে আসা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ