করোনা উপসর্গ নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শ্বাসকষ্ট নিয়ে একই হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা আরেক বৃদ্ধেরও মৃত্যু হয়েছে। দুইজনেরই মৃত্যু হয় শুক্রবার ভোররাতের দিকে।
মৃত দুইজন আসলেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হতে দুটি লাশেরই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আরিফ আহমেদ বলেন, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বর্নি গ্রামের বাসিন্দা শাহিন হোসেনের স্ত্রী শাকিলা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। করোনার উপসর্গ দেখে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু শুক্রবার ভোররাতের দিকে তিনি মারা যান। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
আর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন চৌগাছা উপজেলার জামিয়া গ্রামের রেজাউল উসলাম (৬০)। শ্বাসকষ্ট থাকায় তাঁকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে তিনি মারা যান। শ্বাসকষ্ট ছাড়া করোনার আর কোনো উপসর্গ তার ছিল না। তারপরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারী ও এক বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর হাসপাতাল থেকে তাকে জানানো হয়েছে, নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে বলেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপকুমার রায় জানান, যেহেতু ওই নারীর করোনা উপসর্গ ছিল, তাই পরীক্ষার ফলাফল আসার আগে লাশ হস্তান্তর ঝুঁকিপূর্ণ হবে। সে কারণে লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল/এনায়েত করিম
/হিমেল