ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শ্বাসকষ্ট নিয়ে শরীফুল ইসলাম রনি (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শরীফুল ইসলাম রনি উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের মৃত আলী আজমের পুত্র। তিনি পাশ্ববর্তী গ্রাম বাদৈর সাবের সাদক পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
করোনা উপসর্গ ছিল কিনা এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্কা বিরাজ করছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লোকজন এসে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। গ্রামটিকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, শরীফুল ইসলাম রনি ছোটকাল থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। গত কয়েকদিন যাবত শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভূগছিলেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। পরে তাকে তার পরিবারের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের ধারণা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
শ্বাসকষ্ট জনিত মৃত্যু হওয়ায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে মনে করে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বাড়তে থাকে। পরে স্থানীয়রা উপজেলা প্রাশসন, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে বিষয়টি অবহিত করলে রাত ৮টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র ডা. অনিক ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল তার বাড়িতে এসে রনিসহ পরিবারের লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। পরে সাড়ে ১০টায় উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম ও অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন আসেন ওই গ্রামে এবং রাতেই তাকে দাফন করার নির্দেশনা দেয়া হয়। রাত ১১ টায় গ্রামটিকে লকডাউন করার ঘোষণা দেন উপজেলা প্রশাসন।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম বলেন, স্থানীয়ভাবে জানা গেছে শরীফুল ইসলাম রনি শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। খবর পাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে নিহতের বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। করোনার পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার আগ পর্যন্ত বাড়ি এবং গ্রামটিকে লকডাউন করা হয়েছে। ফলাফল নেগেটিভ আসলে লকডাউন থাকবেনা।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম