বরগুনা সদর জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই করোনা আক্রান্ত রোগী। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন-মো. হিরণ খান (৩৫) ও মো. সেলিম মিয়া (৬২)।
তাদের মধ্যে হিরণ খানের বাড়ি সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ঘটবাড়িয়া গ্রামে ও মো. সেলিম মিয়ার বাড়ি ৭ নম্বর ঢলুয়া ইউনিয়নের খাগবুনিয়া গ্রামে।
শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে বরগুনার জেনারেল হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের সহায়তায় নিজস্ব পরিবহনে তাদের বাড়ি পৌছে দেওয়া হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মো. সেলিম মিয়া তাবলিগ থেকে ফিরে ও মো. হিরণ খান নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে ফিরে বরগুনার সদর জেনারেল হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়। এরপর তাদের দু'জনেরই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ১১ এপ্রিল। সুস্থ হওয়া দু'জনেরই যথাক্রমে ১৯ এবং ২৩ এপ্রিল দুই-দুইবার নমুনা পরীক্ষা শেষে করোনা নেগেটিভ এসেছে। সর্বশেষ নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পরপরই তাদের দু'জনকেই ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট এবং করোনা বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. কামরুল আজাদ এবং সিনিয়র মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সুভাষ দত্তসহ সংশ্লিষ্ট সকল স্বাস্থ্যকর্মী।
এসময় সুস্থ হওয়া রোগীরাও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এরপর দু'জনকেই হাসপাতালের নিজস্ব পরিবহনে নিজ নিজ বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।
বরগুনা সদর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সোহরাব উদ্দিন বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের সাধ্যমত সেবা দেওয়ার। করোনার কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকলেও লক্ষণ দেখে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি এবং সার্বক্ষণিক তাদের নজরদারিতে রেখেছি। এসব কারণে আমরা দু'জনকে সুস্থ করে তুলতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এ কৃতিত্বের পেছনে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সকল চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট, ওয়ার্ড ইনচার্জ এবং নার্সসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের অবদান রয়েছে। তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলেই তাদের সুস্থ করে বাড়ি পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি আমরা।
প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন দু'জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দু'জন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন