নাটোরে করোনার উপসর্গ ছাড়াই আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এই তালিকা থেকে বাদ নেই চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে বিশেষজ্ঞ চিৎিসকদের। তাদের মতে বিষয়টি খুব বিপদজনক। কারণ একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি যিনি জানেন না- তিনি করোনায় আক্রান্ত, অথচ তিনি ঘুরছেন-ফিরছেন এবং সামাজিক কমিউনিটির মাধ্যমে তার এই রোগটি অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছন। সুতরাং করেনার বেশি বেশি পরীক্ষা এবং ঘরে থাকার কোনও বিকল্প নেই। না হলে এটা বিপজ্জনকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে আশার কথা নাটোরে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এদের প্রায় সবাই সুস্থ হওয়ার পথে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সিংড়ায় নুর উদ্দিন নামে জনৈক ব্যক্তির করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য বিভাগ এসময় তার নমুনা সংগ্রহ করা সহ তার সংস্পর্শে যে সমস্ত চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান গিয়েছিলেন তাদের প্রত্যকের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়। পরে নুর উদ্দিনসহ হাসপাতালে কর্মরত একজন টেকনিশিয়ান ও নার্স করোনা পজেটিভ হয়। এরপর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে হাসপাতালে কর্মরত একজন চিকিৎসকও কর্মীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এদের মধ্যে আরো ৩ জন করোনা পজেটিভ হিসেবে চিহ্নিত হয়। কিন্তু পজেটিভ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পূর্বে তাদের কোন উপসর্গ ছিল না। অপরদিকে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ব্যক্তিদের সন্দেহ জনিত কারণে পরীক্ষা করানো হয়। এদেরও অনেকেরই কোন উপসর্গ ছিল না। কিন্তু করোনা পজেটিভ হিসেবে চিহ্নত হয়। এ বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে স্বাস্থ্য বিভাগকে। তারা মনে করছে এভাবে সামাজিক কমিউনিটির মাধ্যমে রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এ বিষয়ে নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান জানান, যারা করোনা উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের চিহ্নিত করা আমাদের জন্য সহজ। কিন্তু যাদের উপসর্গ নেই, একারণে বেশি বেশি পরীক্ষার বিকল্প নেই। কিন্তু আমরা যে টেস্টগুলো পাঠাচ্ছি সেগুলোর ফলাফল পেতেও দেরি হচ্ছে । একারণে বেশি বেশি পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না। তিনি জানান, এ পর্যন্ত নাটোরে ১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা ভাল।
নাটোরের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও করোনা চিকিৎসক টিমের প্রধান ডা. এ এইচ এম আনিসুজ্জামান বলেন, নাটোরের করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের তেমন কোন উপসর্গ নেই। আমরা তাদেরকে সর্দি কাশির চিকিৎসার পাশপাশি পুষ্টিকর খাবার খেতে বলছি। যাতে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়া তাদের আইসলেশান বা ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন না হওয়ায় বাড়িতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক