লালমনিরহাটে সোনালী ব্যাংকের পাটগ্রাম শাখার আরও দুই কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে ব্যাংকটির এই শাখার চার কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হলেন। নতুন করে ব্যাংকটির দুই কর্মীর আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. কালী প্রসাদ রায়। এর আগেই গত ১৫ জুন প্রথম আক্রান্তের খবর জানার পর ব্যাংকটির এই শাখা লকডাউন করা হয়।
করোনা আক্রান্ত কর্মচারীরা হলেন- এওজি-২ (ক্যাশ) মো. নুরুজ্জামান ও নিরাপত্তা কর্মী মো. তহির উদ্দিন।
সোনালী ব্যাংক পাটগ্রাম শাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত ৪ জুন এক নারী সহকারী শিক্ষক টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে এসেছিলেন। ১৪ জুন ওই শিক্ষক করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষককে সহায়তা করার কারণে সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) এনামুল হক ভূইয়া সংক্রমিত হতে পারেন। এরপর ভূইয়ার মাধ্যমে তা শাখার অন্যদের মধ্যে ছড়াতে পারে। তবে এটা স্রেফ ধারণা। বর্তমানে তিনি একাই ব্যাংকের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু সরকারি বিষয় দেখছেন। ব্যাংকের গ্রাহকদের বুড়িমারী ও হাতীবান্ধা শাখা হতে প্রয়োজনীয় লেনদেন অনলাইনের মাধ্যমে করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ব্যাংকের ১৪ জন কর্মীর নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। সব রিপোর্ট পাওয়ার পর শাখাটি খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ১৪ জুন প্রথম করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) এনামুল হক ভূইয়া। এছাড়া ২১ জুন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হন প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আশরাফ আলী।
পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা অরুপ পাল বলেন, সোমবার পর্যন্ত পাটগ্রামের বিভিন্ন এলাকার ৩১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৮৯ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৪ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাকি ৯ রোগীকে তাদের নিজবাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম