ইউরোপের কয়েকটি দেশে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান কর্মসূচি বাতিল করেছে। তবে জাতিসংঘ মনে করে এই টিকা ব্যবহার বন্ধ করার কোন কারণ এখন পর্যন্ত প্রমাণ হয়নি।
শুক্রবার (১২ মার্চ) জেনেভার সংবাদ সম্মেলনে ডাব্লিউএইচওর মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস দাবি করেছেন, ‘অন্যান্য কভিড টিকার মতোই অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ডও একটি অসাধারণ টিকা। টিকার সুরক্ষা নিয়ে কোন সংশয় থাকলে তা পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন হ্যারিস।'
তিনি আরও বলেন, ‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহারে বাধা নেই। তবে এর সুরক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে সংশয় থাকলে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। তবে এই মুহূর্তে এ কথা বলা ঠিক নয় যে আমরা তা ব্যবহার করব না।’
এছাড়াও, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনার টিকা ব্যবহারের সঙ্গে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার সংশ্লিষ্টতা এখনো পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।
সম্প্রতি ইউরোপের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ এরই মধ্যে অক্সফোর্ডের টিকা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৩০ জনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ দেখা দেওয়ার কথা জানা গেছে। তবে ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) বলছে, 'টিকার কারণেই এই লক্ষণ দেখা গেছে তার কোন প্রমাণ নেই। এর সুবিধা ঝুঁকির চেয়ে অনেক বেশি।'
কিন্তু ডেনমার্ক, নরওয়েসহ বেশ কয়েকটি দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান কর্মসূচি বাতিল করেছে। সর্বশেষ থাইল্যান্ড অক্সফোর্ডের টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত করেছে। ১২ মার্চ টিকাদান কর্মসূচি শুরুর কথা থাকলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী তা বাতিল করেছেন।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির